মৌসুমজুড়ে চড়া বাজার, তবুও আম নিয়ে ‘কাড়াকাড়ি’



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে আমের হাট, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে আমের হাট, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছে মুকুল, গুঁটি থেকে পরিপূর্ণ আম হয়ে ওঠা; পুরো মৌসুমেই ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন প্রখর খরা। আবার রঙ ও মিষ্টতা আসার জন্য যখন দরকার সূর্যের তাপ, তখন লাগাতর ঝড়-বৃষ্টি!

এ যেন আবহাওয়ার চরম বৈপরীত্য! যা আগে কখনও দেখেনি আমের রাজ্যখ্যাত রাজশাহীর আমচাষীরা। অনেকটা ‘ভড়কে’ গেছেন ফল গবেষকরাও! আর ‘ভ্যাবাচ্যাকা’ অবস্থায় পড়েছিলেন আমচাষী ও পাইকার ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে মহামারি করোনাভাইরাস আর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্পান! সবমিলিয়ে কয়েক স্তরের চিন্তার ভাজ পড়েছিল রাজশাহীর আমচাষী এবং লক্ষাধিক মৌসুমি পাইকার ব্যবসায়ীদের কপালে!

তবে সেই কপালে ভাজ এখন আর নেই! হাত ওঠেনি মাথায়ও! সব ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে মৌসুমজুড়ে বাজারে অতি সম্প্রতিকালের মধ্যে সর্বোচ্চ চড়া দাম মিলছে আমের। লকডাউন তুলে নেওয়া এবং সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপে আম পরিবহনেও বেগ পোহাতে হয়নি তাদের।

ফলে আমচাষী, মোকাম মালিক এবং বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই করোনাকালেও যেন ঈদ আমেজ! দিন-রাত গাছ থেকে আমপাড়া, বাজারে নেওয়া, মোড়কীকরণ, কুরিয়ার বা ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে পরিবহনের জন্য বুকিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।

রাজশাহীর পুঠিয়া, বানেশ্বর, বাঘা ও চারঘাটে ঘুরে এবং আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই মিলেছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বর বাজারে সরেজমিন ঘুরেও দেখা গেছে- বাজারে আম আসা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

বানেশ্বর বাজারে আমের হাট

শেষ সময়ে যারা খিরসাপাত বা হিমসাগর আম নিয়ে বাজারে আসছেন, তাদের গলার সুর বেশ চড়া! মণ প্রতি ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকার নিচে দাম-দরে নামছে না। অর্থাৎ খিরসাপাত বা হিমসাগরের কেজি এখন ১০০ টাকা! বাজারে মিলবে বড়জোর আর তিন থেকে চারদিন। করোনাকালে জীবন-মৃত্যু নিয়ে যখন ন্যূনতম নিশ্চয়তা নেই, তখন বিখ্যাত খিরসাপাত আম এ মৌসুমে শেষবার খেতে মন চাইলে আপনার হাতে সময় নেই মোটেও!

বাজারে টান পড়েছে ল্যাংড়া আমেরও। মঙ্গলবার (৩০ জুন) অব্দি স্বাভাবিক দাম থাকলেও জুলাইয়ের শুরুতেই চড়া ল্যাংড়ার বাজার দরও। আমের ‘রাজা’ ফজলির জন্য বাজারে জায়গা ছেড়ে দিতেই যেন হুড়হুড় করে ফুরিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু ল্যাংড়া। কিনে খেতে হলে মণ প্রতি গুণতে হবে ৩২০০ থেকে ৩৪০০ টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি ৮২ থেকে ৮৫ টাকা।

বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি মিলছে আম্রপালি। খুব বেশি মিষ্টি জাতের এই আম রাজশাহীর বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণ। অর্থাৎ কেজি প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা প্রায়। তবে স্বাদ, গন্ধ ও রঙহীন হওয়া এ মৌসুমে স্বাদগুণে এখনও ভালো রেটিং পাচ্ছে আম্রপালি-ই!

প্রশাসনের সময়সীমা অনুযায়ী ফজলি পাড়ার কথা ছিল ১৫ জুন থেকে। কিন্তু ওই যে আবহাওয়ার চরম বৈপরীত্য! তাই বেঁধে দেওয়া সময়ের ১৮ দিন পরও বাজারে দেখা নেই আমের রাজা ‘ফজলি’র! অল্প-স্বল্প যা বাজারে এসেছে, তাতে এখনও স্বাদ-গন্ধ খুবই কম! অর্থাৎ পরিপক্বতার ঘাটতি। যা এসেছে তা বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা মণ। অর্থাৎ কেজি প্রতি ২৭ থেকে ৩০ টাকা।

সুমিষ্ট আম্রপালির ভেতরের রঙ

এছাড়া রাজশাহীর বাজারে এখন পাবেন লক্ষ্মণভোগ বা লখনা এবং নাবী জাত বা দেরিতে মুকুল আসা গাছের গুঁটি আম। কম মিষ্টি হওয়ায় লক্ষণভোগকে স্থানীয়রা অনেকে ‘ডায়াবেটিক আম’ বলে থাকেন। সেই ডায়াবেটিক আমও বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ। আর নাবী জাতের গুঁটি আম খুব অল্প পরিমাণে বাজারে মিলছে। গুণমান ভেদে সেগুলো গড়ে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মৌসুমজুড়ে ভালো দামে বিক্রি হওয়া আমের বাজার এবার এগোচ্ছে যেন ‘চীনের বুলেট’ ট্রেনের গতিতে! তাই যে দরদাম আজ জানাচ্ছি, কাল তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, জানেন না ব্যবসায়ী বা মোকাম মালিকরাও।

বানেশ্বর বাজারে প্রায় ২৩ বছর আমের ব্যবসা করছেন ষাটোর্ধ সলেমান শেখ। তিনি বলেন, ‘ভাবছিলাম- এবার ব্যবসা তো হবেই না, দোকানভাড়া কীভাবে মিটাবো! কিন্তু সবই এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাক। গোপালভোগ, খিরসাপাত ভালো দরে বিক্রি হওয়ায় লাভের মুখ দেখেছি। ল্যাংড়া-আম্রপালির বাজারে খুব ভাল। এখন ফজলির বাজার ভালো গেলে করোনার মৌসুমে আর হা-হুতাশ থাকবে না।’

পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া গ্রামের আমচাষী রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আম বেচা-বিক্রি হবে কিনা তা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে কীভাবে কীভাবে বাগান ফাঁকা হয়ে গেল দেখছি! অল্পকিছু আম্রপালি আর ফজলি আছে। বিক্রি হলে আম শেষ! লাভের হিসেব কষতে গেলে আম্পানে যে আম ঝরে পড়েছে, তা ভালো দাম পাওয়ায় পুষিয়ে গেছে। লোকসান গুণতে হচ্ছে না, তাতেই খুশি।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া তো খারাপ ছিলই। পাশাপাশি আম্পানের আঘাতে এলাকা ভেদে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আম ঝরে গেছে। করোনার কারণে বেচা-বিক্রি নিয়ে চাষিরা শঙ্কায় ছিলেন। তবে সব শঙ্কা উঠে গেছে। চাষি ও বাগান মালিকরা আমের ভালো দাম পেয়ে খুশি।’

বাগান থেকে আম পেড়ে ক্যারেট ভরে সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদফতর আগে থেকেই পরিকল্পনা মাফিক পদক্ষেপ নেওয়ায় আমচাষীরা সুফল পেয়েছেন। পাশাপাশি পরিবহনের ক্ষেত্রেও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন ভালো ভূমিকা রেখেছে। যখন ম্যাংগো স্পেশাল চালু করা হলো, তখন অন্যরাও বিভিন্নভাবে আম পরিবহনে কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন সার্ভিস নিয়ে এগিয়ে এলো। ফলে সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগের সমন্বিত ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।’

তবে আমের রাজ্যে সব চাষিরাও আবার ভালো নেই! এখনও শঙ্কায় ভ্রু-কুঁচকে আছেন কয়েকবছর ধরে ইউরোপে আম রফতানি করা বাঘা উপজেলার চাষিরা। তারা ফ্রুটব্যাগে ১০০ মেট্রিকটনেরও বেশি আম উৎপাদন করেছেন। যাতে স্বাভাবিক আম পরিচর্যার চেয়ে কয়েকগুণ খরচও বেশি।

লোকসান কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজতে ব্যস্ত রফতানিকারী আমচাষীরা তাই দিশেহারা। তাদের চোখে-মুখে কেবল প্রশ্ন- ‘কোনো উদ্যোগ বা ব্যবস্থা হলো কী?’ কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানেন না কৃষি কর্মকর্তা শামসুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘শুনেছি- সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলাপ হচ্ছে। কয়েকটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে এসেছে। তবে নিশ্চিত কোনো তথ্যই আমার কাছেও নেই।’

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;