সালিশি বৈঠকে অটো চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
কুমিল্লার লাকসামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার একজন চালককে সালিশি বৈঠকে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সানাউল্লাহ (৫৫) উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের চরবাড়িয়া গ্রামের হালিয়াপাড়া এলাকার শফিউল্লাহর ছেলে।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাতে চারবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের দোকানে ওই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত সানাউল্লাহর ছেলে শরিফ আহম্মেদের অভিযোগ, স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেন, জামশেদ আলম ও ছুটিতে আসা আরিফুর রহমান সুমন নামের এক পুলিশ সদস্য মিলে তার বাবাকে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন। তিনি জানান, ওই অটো চালককে মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা শুনেছি। শনিবার (৪ জুলাই) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন সানাউল্লাহ। এ সময় মসজিদের ভেতরে বসে হাসাহাসি ও দুষ্টুমি না করার জন্য জামশেদের (হত্যায় অভিযুক্ত) ছেলেকে ডাক দেন তিনি। নামাজ শেষে এ বিষয় নিয়ে জামশেদ ও সানাউল্লাহর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় জামশেদ স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেন ও পুলিশ সদস্য আরিফুর রহমান সুমনকে সঙ্গে নিয়ে নিহত সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে সালিশি বৈঠক ডাকেন।
ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের দোকানে বসা বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে ঘাতক জামশেদ, মেম্বার আবুল ও পুলিশ সদস্য সুমন সানাউল্লাহকে বেধরক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে বৈঠকে উপস্থিত জনতার সামনে মেম্বার আবুল, জামশেদ ও সুমন মিলে সানাউল্লাহর শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সানাউল্লাহকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এরপর সেদিন রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।