কুড়িগ্রামে ফের বাড়ছে ধরলার পানি, দুশ্চিন্তায় বন্যা কবলিত মানুষ
কুড়িগ্রামে আবারও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি একটু কমলেও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর হোলখানা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. উমর ফারুক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি জীবন যাপন করছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ টন চাল অনুদান পেয়েছি, তা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।’
পানি কমতে শুরু করলে অনেক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হোলখানা ইউনিয়নের বঢেরতর এলাকার আইয়ুব আলী ও শাহীন জানান, ৫-৬ দিন বন্দি থাকার পর পানি কমা দেখে একটু স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) থেকে আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দুশ্চিন্তার এখন শেষ নেই।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, মূলত উজানের এবং স্থানীয় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আর ভারী বৃষ্টিপাত না হলে ধরলার পানি আর তেমনটা বৃদ্ধি পাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর থাকা অবস্থায় আগামী ৩ থেকে ৪ দিন পর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ অবস্থায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি না নামতেই আবারও পানি বৃদ্ধি শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে রয়েছে। বন্যা যদি আরও দীর্ঘায়ত হয় তাহলে চরম খাদ্য সংকটে পড়তে হবে বানভাসি মানুষদের।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন করে আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।