বড় গরু বিক্রি নিয়ে হতাশায় খামারিরা
রাজধানীর পাশের জেলা মানিকগঞ্জে গরুপালনকারী খামারির সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৬৩ জন। আসন্ন কোরবানি ঈদকে লক্ষ রেখে প্রায় অর্ধ লক্ষ গরু লালন পালন করেছেন তারা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে শেষ সমেয়র ব্যস্ততায় খামারিরা।
তবে করোনাকালীন সময়ে শ্রমিক সংকট ও গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গরু পালনে খরচ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে চিন্তিত তারা। বিশেষ করে বড় গরুর বিক্রি নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে মানিকগঞ্জের খামারিদের। গরুর দাম কমে গেলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে মন্তব্য ক্ষুদ্র খামারিদের।
রোববার (৬ জুলাই) দিনভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে আলাপ হলে এমন বিষয়টি তুলে ধরেন খামারিরা। করোনার সময়ে ভারত থেকে বিভিন্ন পথে গরু আমদানি বন্ধে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টি কামনা করে গরুর ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির দাবি তুলে ধরেন তারা।
মানিকগঞ্জ ফ্রেন্ডস ডেইরি ফার্মের পরিচালক মো. মহিনুর রহমান বলেন, ছোট বড় মিলে তাদের ফার্মে ৪২টি গরু (গাভি ও ষাঁড়) রয়েছে। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছে দুইটি ষাঁড়। যার একটির ওজন হবে প্রায় ১৬ মণ। আরেকটির ওজন হবে প্রায় ১২ মণ।
করোনাকালীন সময়ে শ্রমিক সংকট ও গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ষাঁড় দু’টির কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তিনি। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে বড় গরু কোরবানিতে মানুষের আগ্রহের বিষয়টি নিয়েও চিন্তার বিষয়। তবে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকলে ন্যায্য দামেই দেশীয় গরু বিক্রি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব দাশড়া এলাকার খলিলুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, লাল রংয়ের আড়াই বছর বয়সের একটি ষাঁড় রয়েছে তার। সখ করে ষাঁড়টিকে লাল বাবু বলেন ডাকেন তিনি।
রোযার ঈদে আড়াই লাখ টাকা দাম উঠলেও এখন কোন ক্রেতা নেই লাল বাবুর। আসন্ন ঈদে উপযুক্ত দামে ষাঁড়টি বিক্রি না হলে বেশ লোকসানে পড়তে হবে বলেও জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদকে লক্ষ রেখে মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই গরু পালন করেন স্থানীয় খামারিরা।
এবারের ঈদেও ৪৬ হাজার ১২২টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটে গরুগুলো বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।