চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় চোরাকারবারিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্র্তা২৪.কম,চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় চোরাকারবারিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় চোরাকারবারিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানীর জন্য ভারতীয় গরু আনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। তবে তাদের প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড-বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে- ২০১৯ সালের ঈদুল আজহার আগে প্রথমবারের মতো ভারতীয় গরু আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার একটু আগেভাগেই সেই নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রণালয়টি। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা করে সীমান্ত এলাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে চোরা চালানকারীরা।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে সাধারণত বন্যার পানি বাড়লে গরু চোরাচালান বেড়ে যায়। জেলার বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় রয়েছে পদ্মা নদী। নদীর এপারে বাংলাদেশ, ওপারে ভারত। তাই এ সব সীমান্তে গরু চোরাচালান খুব সহজ। বাংলাদেশি রাখালরা (চোরাচালানে নিয়োজিত) ওপারে গিয়ে রাতের আঁধারে গরু ভাসিয়ে দেয় পদ্মা নদীতে। সেই গরু সাঁতরে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। আর নদী পথ হওয়ায় ওইসব সীমান্তে বিজিবি বা বিএসএফের টহলও থাকে কম।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিজিবি

জেলার একাধিক সীমান্তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছর কোরবানীর সময় ব্যাপক সংখ্যক গরু আসতো ভারত থেকে। কিন্তু এ বছর এখনো তেমন সংখ্যক গরু আসতে শুরু করেনি। তবে এরইমধ্যে চোরাকারবারিদের তৎপরতা শুরু হয়েছে সীমান্ত এলাকায়।

শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সীমান্ত এলাকায় বাইরের লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গেছে বেশ কিছুদিন থেকেই। প্রতি বছর কোরাবানির ঈদের আগে এমনটা হয়ে থাকে।

এদিকে সীমান্ত এলাকায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিজিবিও। তবে বাহিনীটির পক্ষ থেকে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানেও থাকার কথা জানানো হয়েছে।

সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যারা এ ধরণের চোরাচালান কার্যক্রমের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরণের অবৈধ কার্যকলাপ বৃদ্ধির ফলে চোরাচালান বৃদ্ধিসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের জানমাল ও জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের জানমাল ও জীবন রক্ষায় কঠোর নজরদারি বৃদ্ধিসহ টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। রাতে টহল বৃদ্ধির মাধ্যমে সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার, গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

   

মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা মাইন ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটায় ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের এক পতিত জমি খননের সময়ে শ্রমিকরা থ্রি নট থ্রি রাইফেলের যন্ত্রাংশ, দুইটি মাইন ও একটি মটরসেল দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিস্ফোরণ করেন। ধারণা করা হয় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো বিস্ফোরণ করেন।

;

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;