গরুর লাম্পি স্কিন রোগে দিশেহারা খামারিরা
ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা দিয়েছে গরুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ (চর্মরোগ)। গরুর শরীরে দেখা যাচ্ছে গুটি, ফুলে যাচ্ছে গলা ও পা। এ রোগের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন না থাকায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে জেলায় মারা গেছে প্রায় অর্ধশত গরু। এমন রোগে চরম আতঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারি ও পশু পালনকারীরা।
ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫টি উপজেলার ১০ হাজার ৩৩১টি গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারে গরু হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৫টি। এরমধ্যে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২১৮টি গরু ও মারা গেছে প্রায় অর্ধশত গরু।
লাম্পি স্কিন রোগে গরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বর আসে। এরপর চামড়ায় গুটি হয়ে পানি জমে এবং পরে গলায় ও পায়ে পানি জমে আসে। এ অবস্থ গরু খাওয়া বন্ধ করায় অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ছোঁয়াচে হওয়ায় দ্রুত বেড়ে চলেছে ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন। চিকিৎসা দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামারিরা। রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাজারে গরুর দামেও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
খামারি ও কৃষকরা বলছেন, এ রোগের সঠিক ভ্যাকসিন বা ওষুধ না থাকায় রোগটি নিয়ন্ত্রণ করছে পারছেনা প্রাণীসম্পদ বিভাগ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রোগের সঠিক ওষুধ তৈরির দাবি করে তারা।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ ছড়ায় মশা ও মাছির মাধ্যমে। এ রোগটির সুনির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত পশুর লক্ষণ অনুযায়ী প্যারাসিটামল, এন্টিহিস্টামিন ও সোডা এবং গোটপক্স ভ্যাক্সিন প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে। লাম্পি স্কিন রোগে খামারি বা কৃষকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।