ভাত জোটে না ফুলমুল পাইমো কোটে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাসিমা বেগম ও তার মেয়ে আফরিনা

নাসিমা বেগম ও তার মেয়ে আফরিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

কাজ বন্ধ থাকায় দুই বেলা ভাতেই জোটে না, ফুলমুল পাইমো কোটে। হামার একন বাঁচি থাকাই ধুনশুন হয়া গেইচে।

সন্তানসম্ভবা মেয়ের পুষ্টির বিষয়ে প্রশ্ন করতেই এমন আক্ষেপ ঝরে নাসিমা বেগমের কণ্ঠে। করোনা তাদের দিন এনে দিন খাওয়া জীবনকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। ৭টি বাসায় ধোয়া-মোছার কাজ করতেন। করোনা আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।

জমি-জমা বলতে কিছুই নেই। স্বামী আবেদ আলী একটি বাসায় নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। তার চাকরি এখনও বহাল রয়েছে। দু’জনের আয় দিয়ে টেনেটুনে সংসার চলে যেতো। অন্তত ভর্তা-ভাতের অভাবে পড়তে হয়নি খুব একটা। হঠাৎ করোনায় নাসিমা বেগমের জীবনকে চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে।

ঠিক যখন নিজের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তখনই মেয়ের জামাই খুশির সংবাদ দিয়ে গেছেন, তিনি নানি হতে যাচ্ছেন। খুশির সেই সংবাদের সঙ্গে একটি দুঃসংবাদও দিয়ে গেছেন। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় সন্তানসম্ভবা আরফিনাকে বাবা বাসায় রেখে গেছেন জামাই। যাতে তার সেবাযত্নটা সঠিক মতো হয়।

বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করলেও বেশ সচেতন মনে হলো নাসিমা বেগমকে। গর্ভবতী মেয়ের যে কিছু বাড়তি খাবার প্রয়োজন হয় জানেন কি। জবাবে বলেন জানিনে ফির জানিতো। কিন্তু টেকা পাইমো কোনটে। একজনের আয় আর কয়টেকা। তাই দিয়ে চালেই জোটে না।

রূপনগর বস্তিতে আফরিনার মতো আরও অনেক সন্তানসম্ভবা মহিলা রয়েছে। যারা প্রথমবারের মতো মাতৃত্বের স্বাদ নিতে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ দ্বিতীয়-তৃতীয়ও রয়েছেন। এই সময়ে তাদের যে পুষ্টির প্রয়োজন বিষয়টি তাদের সকলের কমবেশি জানা। তবে সকলেই প্রায় অসহায় নিয়তির কাছে পরাজিত। এখন জীবন বাঁচানোর জন্য দু’বেলা ভাতের সংগ্রামে ছুটতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ভিক্ষুকের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। নিজ এলাকায় হাত পাততে না পেরে দূরের মহল্লায় চলে যাচ্ছেন।

মানুষদের মধ্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

সরকারি ত্রাণ সামগ্রী (চাল-আলু-তেল-লবণ) দেওয়া হলেও সেটিও অপ্রতুল। এই ত্রাণের ক্ষেত্রে ঢাকার এনআইডি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের ভোটার ভাসমান এসব লোক মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। বস্তির এসব বাসিন্দাদের কাছে পুষ্টির বিষয়টি সব সময়েই বড়লোকি কারবার হিসেবে পরিচিত। যার ফলে হাজার লোকের ভিড়েও তাদের খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হয় না।

গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবেই উপেক্ষিত। সে কারণে আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন জরুরি খাদ্য চাল-ডালের পাশপাশি পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য। এটি করা না গেলে করোনার প্রতিঘাত কয়েক যুগ ধরে বয়ে বেড়াতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাভিশন’র বার্তা সম্পাদক মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, করোনায় বেঁচে যাওয়াদের কী হবে? তারা অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে কিনা- এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভিটামিনহীন হয়ে বেঁচে থাকার পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে? প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক হলেও ভাবনায় আসছে না সেভাবে। সুস্থ-স্বাভাবিক বা নিরোগভাবে বেঁচে থাকতে এমনিতেই প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য থেকে বঞ্চিত নিম্ন আয়ের মানুষের একটি বড় অংশ। সারা বছর অপুষ্টিতে ভোগেন তারা। তার ওপর এই করোনা দুর্যোগে তারা আরো পুষ্টিহীন হয়ে পড়ছে। শুধু চাল-ডাল-তেল-আলুর বাইরে আরো কিছু ভাগ্যে জুটছে না এই শ্রেণিটির। মাছ-মাংস-ডিম, শাক-সবজি ও ফলমূলসহ প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য না পাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে চলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিদিনের বুলেটিনে করোনার ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিম্নবিত্তরা পুষ্টিকর খাদ্য পাচ্ছে কি? সরকারিভাবে এখনো কোনো উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছে পুষ্টি জোগানোর? নিম্ন আয়ের মানুষ উপার্জনহীন হয়ে পড়ায় পুষ্টিকর দূরে থাক স্বাভাবিক খাদ্য জোগাড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে। ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদি খনিজ তাদের পেটে যায় না। অর্থাৎ বেঁচে গেলেও অপুষ্টিতেই থাকছে তারা। অপুষ্টিজনিত কারণে একদিকে যেমন অ্যান্টিবডি তৈরি না হওয়ায় রোগাক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে, অন্যদিকে কোষগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

অ্যান্টিবডি তৈরিতে পুষ্টিকর খাবার

করোনায় মৃত্যুহার কমানোর প্রধান উপায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। সেটার জন্য খাদ্য তালিকায় উজ্জ্বল রঙের ফল কমলালেবু, পেঁপে, আঙুর, আম, কিউই, আনার, তরমুজ, বেরি, জলপাই, আনারস এবং পারপেল-লাল পাতাকপি, বিট, ব্রোকলি, গাজর, টমেটো, মিষ্টি আলু ও ক্যাপসিকামসহ উজ্জ্বল রঙের সবজি, ডিম, সবুজ শাক, মুরগির মাংস, কলিজা, দুধ জাতীয় খাবার, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তা বাদাম, বাদাম তেল, ভেজিটেবল অয়েল, জলপাইয়ের আচার, আমলকি, লেবুসহ বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার রাখার কথা বলছেন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। যেখানে চাল-আলু-ডালই জোগাড়ের অবস্থা নেই, সেখানে এই ম্যানু বাতলানো পরিহাসের মতো। ত্রাণের আলু ভর্তা-ভাজি খেতে যে তেল-পেঁয়াজ-মরিচ-লবণ লাগবে তা কেনার টাকাই যাদের হাতে নেই তাদের ফলমূল, মাছ-মাংস, ডিম-দুধ খাওয়ার কথা বলা মশকরার নামান্তর।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি. জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, পুষ্টি নিয়ে কাজ হচ্ছে না বিষয়টি এমন নয়। আমরা ত্রাণ বিতরণের সময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুধও যুক্ত করছি। পাশাপাশি কিছু এনজিও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। ইউএনডিপির সহায়তায় এলআইইউপিসি নামের একটি প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার লোককে ফুড প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। জুলাই থেকে তারা আরেকটি প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। এখানে ১ হাজার ৩৫০ গর্ভবতী মাকে দেড়বছর মেয়াদি ফুড প্যাকেজ দেওয়া হবে। মাসের প্যাকেজে থাকবে ৩০টি ডিম, ১ কেজি ডাল ও ১ লিটার তেল। এছাড়া ব্র্যাকসহ আরও কিছু এনজিও কাজ করছে। তবে আরও বেশি আকারে করতে পারলে ভালো।

   

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;

চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মোছাম্মৎ সাফা নামের ছয় মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ধারণা, অতি গরমে শিশুটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি নাম মো. নিজাম উদ্দীনের মেয়ে।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেয়ার পর তার শরীর ঠাণ্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সাবরিনা আকতার বলেন, হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করলে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা যাবে আসলে কি হয়েছিল শিশুটির। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে সে মারা যায়।

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

 

;