বেগমগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত, গ্রেফতার ৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে (১৭) ধর্ষণ ও গর্ভপাত করে শিশু হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত একজন ইউপি সদস্য ও এক নারী চিকিৎসকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ, কমল সিংহ ও ফারুক হোসেন।
তবে অভিযুক্ত ধর্ষক কাউসার আহমদ ওরফে হামিদ (২৮) পলাতক রয়েছেন। কাউসার পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক এবং একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রহম সর্দার বাড়ির আলী আকবর ব্যাপারীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পল্লী চিকিৎসক হামিদ ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ৪ জুলাই কাউসার ওই কিশোরীকে তার সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে চৌমুহনীর কলেজ রোডের নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলে এবং গর্ভপাত ঘটায়। পরে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চালান ফারুকসহ কয়েকজন। কিন্তু মীমাংসা না করে বিষয়টি নিয়ে ফারুকসহ বাকীরা তালবাহানা করলে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।