কেন কমছে করোনা শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে দিন দিন করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা ও পরিধি কমছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী গত ২ জুলাই সারা দেশে ১৮ হাজার ৩৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হয়েছিলো ৪০১৯ জন। এরপর দিন ৩ জুলাই ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের সংখ্যা জানায় ৩১১৪ জন। তারপর টানা এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে। পরীক্ষার হার কমে ১৩ থেকে ১৪ হাজারে নেমে এসেছে। যেখানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতিদিন ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার।

এদিকে নমুনা পরীক্ষার হার কমার সাথে সাথে আক্রান্তের সংখ্যাও নিচের দিকে নামছে। আক্রান্ত ও নমুনা পরীক্ষার হার নিম্নমুখী হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন দেশে করোনার প্রকোপ কমে গেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন টেস্ট কিটের স্বল্পতার কারণে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তাই আক্রান্তের সংখ্যাও কম দেখাচ্ছে।

চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দেশে সংক্রমণের যে ধারা তাতে পরীক্ষা কমানো যাবে না। পরীক্ষা বাড়াতে হবে, কিন্তু বাড়ছে না। যেসব জায়গায় বেশি সংক্রমিত লোক আছে, সেখানে পরীক্ষা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে পরীক্ষার বাড়ার কথা সেখানে কমে যাচ্ছে, এটা ভালো লক্ষণ না। সরকারকে টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭৬টি ল্যাবরেটরি হয়েছে। এখন তো টেস্টের অসুবিধা নেই। এখন প্রতিদিন ২০ হাজার পরীক্ষা হলেই চলবে। এতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

করোনা টেস্ট হ্রাস ও শনাক্তের হার নিয়ে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব ডা. জহিরুল করিমের সাথে। তিনি ফি নির্ধারণকেই করোনার নমুনা পরীক্ষা কমার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন।

ডা. জহিরুল করিম বার্তা২৪.কমকে জানান, নমুনা পরীক্ষায় মূল্য নির্ধারণ করার পর থেকেই পরীক্ষার হার আগের তুলনায় কয়েক হাজার কমেছে। এই কারণে আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। বিনামূল্যে না পাওয়ায় অনেক উপসর্গহীন পজিটিভ ও উৎসাহী মানুষ আর নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তাই আক্রান্ত কমবে এটাই স্বাভাবিক। আক্রান্ত যতটুকু কমেছে সেগুলোর মধ্যে উপসর্গহীন পজিটিভ মানুষই বেশি।

উপসর্গহীন পজিটিভ যারা আছেন কিন্তু টাকার কারণে টেস্ট করছেন না তারা তো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি? এমন প্রশ্নের জবাবে করিম বলেন, এই ব্যাপারটা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একদিন প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়েছে, উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হয়। পরে আরেক দিন জানিয়েছে যে, উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হয় না।

টেস্ট কিটের স্বল্পতার কারণে পরীক্ষার হার কমছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টেস্ট কিটের স্বল্পতা নেই। এখন যেভাবে চলছে সেভাবে টেস্ট করালে আরো একমাস পরীক্ষা চালানো যাবে এমন কিট মজুত আছে। শনিবারও (১১ জুলাই) টেস্টিং কিট নিয়ে একটি ফ্লাইট দেশে আসবে।’

তবে, কিট আমদানিকারক বিভিন্ন কোম্পানি প্রথম দিকে যেভাবে সারা দিয়েছিলো এখন সেভাবে দিচ্ছে না বলে জানান ডা. জহিরুল করিম।

তিনি বলেন, ‘বাকিতে কিট দিয়ে বিল না পাওয়ায় কোম্পানিগুলো প্রায় সর্বশান্ত অবস্থায় আছে। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) কিট সংগ্রহ করে সরকারকে দেয়, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় প্রত্যেকেই দুই থেকে তিনশ কোটি টাকা পায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ও যন্ত্রপাতি বিতরণ বিভাগের (সিএমএইচডি) কাছে। সরকার থেকে সিএমএইচডি বিল না পাওয়ায় একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে সিএমএইচডি শুধু কিট কিনতে পারে। এক্ষেত্রে তারা যদি বাকিতে আর কিট না পায় তাহলে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এখন তো পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়। যা খুব সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। সব জায়গায় পিসিআর বসানো সম্ভবও নয়। টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে জেলাভিত্তিক পিসিআর মেশিন বসানো ও র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থার কথাও ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।

উল্লেখ্য, বুধবার বেলা আড়াইটার স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৮টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৪৯ জন। মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ জন। মোট মৃত্যু ২,২৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ৪০৬ জন। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ১৮ হাজার ২৭২টি।

   

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। কন্টোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‍্যাব-৩।

একইদিন সন্ধ্যায় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফউদ্দিন জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্টোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সবধরণের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা সনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র‌্যাব সদস্যরা। তাছাড়া ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রয়োজনে র‌্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;