‘ঘরের জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারলাম না’



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ঘরের আসবাবপত্র সব ভেসে যায় এই বৃদ্ধের

তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ঘরের আসবাবপত্র সব ভেসে যায় এই বৃদ্ধের

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি পানিতে ভাসছি। রাস্তা বা খাল বোঝার কোনো উপায় নাই। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ভেঙে কোনোমতে রাস্তায় গিয়ে উঠলাম। কিন্তু ঘরের জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পরলাম না। সব পানিতে ভেসে গেছে।’

মলিন মুখে কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সর্দার পাড়ার ৭০ বছরের আলিমুল মিয়া। তিনি ৩০ বছরেও তিস্তার পানির এমন আক্রোশ দেখেননি। হঠাৎ করে তিস্তার থাবায় সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত আলিমুল মিয়ার মতো অনেকেই।

ওই গ্রামের কৃষক শুকুর আলী বলেন, ‘১৯৯০ সালের পর এবার তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে।’

রোববার (১২ জুলাই) রাত ১২টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৩ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ অবস্থায় জেলায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে সরকারি হিসেবে এর পরিমাণ ২১ হাজার।

হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে রাস্তা-ঘাট

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে হাতীবান্ধা উপজেলায় গড্ডিমারী গ্রামের আরিফা আক্তার নামের ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে তিস্তা এমন ফুলে ফেঁপে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ রোববার রাতে বিশেষ সতর্কতা জারি করে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতেও মাইকিং করা হয়েছে। হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কে পানির চাপ ঠেকাতে এলাকার লোকজন বালির বস্তা ফেলছে। আদিতমারীতে একটি বালুর বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত আছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সোমবার দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার পর ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করছে। সদর উপজেলার মোগলহাটের শিমুলবাড়ি পয়েন্টে সোমবার দুপুরে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে আতংকিত হয়ে পড়ছে লালমনিরহাট শহর ও শহরতলীর লোকজন। ধরলার এমন অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

ভারতের গজালডোবা ব্যারেজ থেকে নেমে আসা পানি নিয়ন্ত্রণ করতে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও সদর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বানভাসি এসব মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

নৌকায় চলাফেরা করছেন বন্য কবলিত এলাকার মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৭টি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুধু এই ইউনিয়নেই ১০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এসব পানিবন্দি পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারিভাবে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ৩৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ব্যারাজের উজান ও ভাটিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।

   

হাতিয়ায় দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন। এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখা যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন জানান, গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে তানিম নামে এক যুবক ঘুরতে যান উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে। ওই সময় তিনি সাপটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় কিছু লোকজনও সাপটি সেখানে দেখতে পান। আমি বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকে জানিয়েছি। এরপর ওই সাপের কয়েকটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। এটি একটি বিষাক্ত সাপ। উভচর প্রাণী হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ জলে ও স্থলে প্রায় সময় দেখা যায়। তবে এ প্রজাতির সাপ বিরল। এগুলো এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ সাপটি সন্ধ্যার দিকে উপকূলে উঠে মানুষের আনাগোনা দেখে আবার সাগরে চলে যায়।’

;

নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে মাঠ প্রশাসনকে ইসির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সকালে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজিপি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধণের কী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর কি সহায়তা দরকার সেটা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলা কী সমস্যা আছে তা বলেছে। পার্বত্য জেলায় হেলিকপ্টার দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচনের সম্মানি ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিশন সেটাতে সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজেন অতিরিক্ত জনবল দেবে।

তিনি আরও বলেন,পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে কমিশন সেটা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। মূলত মাঠ প্রশাসন যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করা যাবে আদালত এ নির্দেশনা দিয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার আদেশের কপি এখনো পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।

অতিরিক্ত ফোর্স কোন কোন জেলা থেকে চাওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলার কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে।

ইসি সচিব বলেন, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

মাঠ প্রশাসন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে কি-না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলে নাই। তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করে নাই। গোয়েন্দে রিপোর্টে সেটা থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছে। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ের মায়ের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে রান্না করার সময় গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক নগরীর আবাসিক এলাকাঢ এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া শহরে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বৃদ্ধা সোনাবান বিবি (৮০) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মদনচর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলামের চাকরি সুবাদে গত চারমাস আগে তিনি বগুড়ায় বেড়াতে আসেন।

নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, চাকররির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখে রান্না ঘরে ঢুকে দেখেন গ্যাসের আগুনে তার মা দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

দেশে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন,

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই মলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিডিপির জন্য যেসব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, এগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টর গুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না। মানুষের যেমন দুটি পা আছে ঠিক তেমনি জিডিপির দুটি পা হল এগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে সে দেশ ততো বেশি উন্নত।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সারকে ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়। ১৯৯৬ সালে দেশে ১৬'শ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশনস্ (প্রাঃ) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

;