জমি নিয়ে বিরোধ, বৃদ্ধের ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
মমিন উল্যা’র ভাঙা ঘর।

মমিন উল্যা’র ভাঙা ঘর।

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলা চালিয়ে মমিন উল্যা নামে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বসতঘর ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে বৃদ্ধকে। অথচ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের অলীপুর গ্রামের বক্স আলী হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মমিন উল্যার ঘর ভেঙে দেয়া হয়। একই বাড়ির হোসেন আহম্মদ ও তার ছেলেরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরের আসবাবপত্রসহ টিন, কাঠ লুটে নেন তারা। ঘর ছাড়া এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের উপযুক্ত মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বৃদ্ধের পরিবার।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্র জানায়, পূর্বপুরুষের ভিটায় স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মমিন উল্যা বসবাস করে আসছেন। তার ঘরের পাশে অভিযুক্ত হোসেন আহম্মদ জমি কিনে বসবাস করছেন। কিন্তু মমিনের জমিটি নিজেদের দাবি করছেন হোসেন আহম্মদ ও তার ছেলেরা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিসি বৈঠক হলেও হোসেন আহম্মদ কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। এদিকে জমিটি দখলের জন্য হোসেন আহম্মদ বিভিন্নভাবে মমিন ও তার পরিবারের উপর নির্যাতন শুরু করেন।

গতকাল সোমবার মমিন তার জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ইট নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হোসেন আহম্মদের ছেলে কামরুল ইসলাম ইটবাহী ট্রাকে হামলা চালান। একপর্যায়ে হোসেন আহম্মদের পরিবারের ৬-৭ জন সদস্য হামলা চালিয়ে মমিনের ঘরটি ভাঙচুর করেন।

ভুক্তভোগী মমিন উল্যার স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। তারা মানবেতর জীবনযাপর করছেন। হোসেন আহম্মদ তাদেরকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। কিন্তু না পেরে তাদের ঘরটি ভেঙে দিয়েছেন। এতে বিয়ের উপযুক্ত মেয়েকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

বৃদ্ধ মমিন উল্যা জানান, ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হোসেন আহম্মদ তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। ঘর ভেঙে দিয়েছেন। এ কারণে পরিবার নিয়ে তাকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসেন আহম্মদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে থাকায় কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

   

ভালুকায় মহাসড়কে অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদে অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। অভিযানে মূল দোকানগুলো উচ্ছেদ না করে ভ্রাম্যমান দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি, সিডস্টোর ও ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে উপজেলার ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাজার ও মাস্টারবাড়ি বাজার এলাকায় কতিপয় প্রভাবশালী লোকেরা অবৈধভাবে শত শত দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। আর এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে ভালুকার ওই তিনটি স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী ও পথচারীদের।

মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা লোক দেখানো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে আসন্ন ঈদের কারণে ভ্রাম্যমাণ কিছু দোকান সরিয়ে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। এ সময় ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বকুল ও পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলাম জানান, রাস্তা থেকে ১০ ফিট দূরে থাকবে দোকান পাট, তবে ঈদের পরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

ঈদে দুরপাল্লার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মহাসড়কের উপর ভ্রাম্যমান দোকানগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

;

কারওয়ান বাজার থেকে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই অফিসটি সরিয়ে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে নেওয়া হচ্ছে। মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে ডিএনসিসি'র অঞ্চল-০৫ এর অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মালামাল স্থানান্তরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।

সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে এবং ঈদের পরে ভবনটি ভাঙা হবে। ঈদের পরে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে থাকা ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে সরিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়াও ঈদের পরে অস্থায়ী আরও ১৮০টি দোকানও গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।'

উল্লেখ্য, কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে গত ১৮ মার্চ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ঈদের পরে কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। কারওয়ান বাজারের এই কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে। কারওয়ান বাজারস্থ পাইকারি কাঁচাবাজারের এই ব্যবসায়ীদের গাবতলিতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।'

;

ঈদকে ঘিরে নগর জুড়ে জাল নোট সরবরাহ করতেন তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈদকে ঘিরে তারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করতেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার রাজাখালী ইউনিয়নের গোলাম কাদেরের ছেলে মো. মনিরুল আলম (৪৭), বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারের মৃত ইউনুছের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৩৪) এবং বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্দী এলাকার মো. নুরুল আলমের ছেলে মো. মাসুদ আলম প্রকাশ চৌধুরী (৩৫)।

পুলিশ জানায়, নগরের নিউ মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও টেরীবাজারসহ আশপাশ এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জাল টাকা সরবরাহ করেন তারা। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এ ব্যবসায় জড়িত।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ স্টেশন রোড থেকে মনিরুল এবং হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফিরিঙ্গি বাজারে অভিযান চালিয়ে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’

 

;

রাজশাহী রেল ভবনে দুদকের হানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালামাল কেনাকাটায় প্রায় ৩ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল এ অভিযান শুরু করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি অডিট আপত্তিতেও উঠে আসে। সেই অভিযোগও অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযান শুরু করে। অভিযানে তথ্য উপাত্ত ও নথি বিশ্লেষণ করছে। কেনাকাটার বিভিন্ন নথি ও তথ্য যাচাই শেষে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, কেনাকাটার ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত কিছু হয়েছে কিনা দুদক সে বিষয়ে তদন্তে এসেছিলো। আমরা তাদের চাহিদা মত কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি।

;