খোলা আকাশের নিচে বানভাসি মানুষের রাত্রিযাপন
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যায় বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় শত শত মানুষ পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছে।
অনেকের বাড়িতে বুক সমান পানি থাকায় তারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে উঁচু সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তবে সড়কে যারা আশ্রয় নিয়েছে বেশির ভাগেই নারী ও পুরুষ ও তাদের শিশু সন্তানদেরকে নিয়ে রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছেন।
বুধবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়ক ও শুলকুর বাজার ওয়াবদা বাঁধে শত শত বানভাসি মানুষকে তাদের গবাদিপশু নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করতে করতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রাম -যাত্রাপুর সড়কের খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করা, কয়সার আলী, রজব আলী ও সামাদ জানান, গত ২-৩ দিন থেকে খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছি একদিনও কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার আমাদের খবর নিতে আসে নাই। কিছু না দেখ খবর যদি নিত তাদেই আমরা খুশি।
ওই সড়কে আশ্রয় নেয়া মমিনুল নামে এক যুবক বলেন, আমার বাড়ি ডুবে গেছে বাড়িতে থাকার কোনো ব্যবস্থা নাই। বাড়িতে খাবারও নাই। তাই এই রাস্তায় দুইদিন থাকি আছি। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোন ত্রাণ সহায়তা পাই নাই।
বুধবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯৬ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার আড়াই শতাধিক চর ও নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন উঁচু এলাকাকার প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ।