অনিয়মই নিয়ম বেফাকে, মানা হয় না গঠনতন্ত্র!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম. ঢাকা
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়মই যেনো বেফাকের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বেফাকের কার্যক্রম পরিচালনায় মানা হয় না গঠনতন্ত্র। তবে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে পার পাওয়ার নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। গঠনতন্ত্রে বেফাকের মজলিসে আমেলার (নির্বাহী কমিটি) সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২১ জন পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে কমিটির ব্যপ্তি ১৫৫ জনের। অভিযোগ রয়েছে, নেতৃস্থানীয়রা তাদের প্রভাববলয় বিস্তারের জন্য কমিটিতে চেনা-জানাদের জায়গা করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কমিটি গঠনে এলাকাপ্রীতি, স্বজনতোষণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বেফাক প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছর পর্যন্ত বেফাকের কর্মনীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আসা এবং বেফাকে নিজ নিজ মাদরাসা অন্তর্ভুক্তি না করানো প্রিন্সিপালরা বেফাকে যোগ দিয়েই পেয়েছেন সহ-সভাপতি, সহকারী মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। বেফাকের সংবিধান উপেক্ষা করে মজলিসে শুরা ও আমেলার মতামত না নিয়ে গঠন করা হয় মজলিসে খাস। এটা নিয়ে আলেমসমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বেফাকে মাওলানা আনাসের প্রভাব
বেফাক সূত্রে জানা গেছে, আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা ও প্রশাসনিক কাজ তদারকি করতে পারছেন না। ফলে দাফতরিক কাজের জন্য তার ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর ওপর নির্ভর করতে হয়। এই সুযোগে বেফাকে নিজের প্রভাব বলয় বাড়াতে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন মিটিংয়ে আল্লামা শফীর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ওই চিঠির আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেন তিনি। এসব চিঠির সত্যতা নিয়ে খোদ বেফাকের কর্মকর্তাও সন্দিহান। তার পরও কেউ এসবের প্রতিবাদ করেন না। অনেক আমেলার সদস্য মিটিংয়ে যান না শুধু এ কারণে যে, মিটিংয়ে যেয়ে কী হবে, সিদ্ধান্ত তো হবে চিঠির আলোকে।

আরও পড়ুন: কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে

গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘বেফাকের অন্তর্ভূক্ত সকল কওমী মাদরাসার মুহতামিম পদাধিকার বলে অত্র সংস্থার সাধারণ সদস্য বলে গণ্য হবেন।’ কিন্তু বেফাকের সভাপতি আল্লামা শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী সহ-সভাপতির পদে আছেন। বয়োজেষ্ঠ না হয়েও মাওলানা আনাস মাদানী শুধু আল্লামা শফীর ছেলে হওয়ায় এই পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক। একই মাদরাসার শিক্ষক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও বেফাকের সহ-সভাপতি। এক মাদরাসা থেকে এভাবে তিনজনের অন্তর্ভুক্তি স্পষ্ট গঠনতন্ত্রের সঙ্গে অসামঞ্জসাপূর্ণ। তবে, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সর্বশেষ কাউন্সিলে সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে এক নম্বর নির্বাহী সদস্য করা হয়। আর সহ-সভাপতি হন মাওলানা আনাস। পরে অবশ্য নানামুখী চাপের কারণে আল্লামা বাবুনগরীেক সহ-সভাপতি করা হয়।

অন্যদিকে ফরিবাদবাদ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নুরুল আমিন বেফাকের সহকারী মহাসচিব পদে অধিষ্ঠিত। ওই মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবদুল কুদ্দস বেফাকের মহাসচিব। মাওলানা নুরুল আমিন বেফাক মহাসচিবের ভগ্নিপতি। এভাবে লালবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল না হয়ে শুধু চট্টগ্রামে বাড়ি ও আল্লামা শফীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাধে মুফতি ফয়জুল্লাহ বেফাকের সহ-সভাপতি পদে আসীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আলেম বলছেন, ‘দ্বীনি শিক্ষায় স্বজনপ্রীতির বিরোধিতা করা হলেও এ ধরনের চর্চা দেশের সবচেয়ে বড় কওমি প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে বাধাগ্রস্ত করছে। এর অবসান দরকার।’

দেশের বৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)-এর দশম কাউন্সিলে তারা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। আগের কমিটির তুলনায় কলেবরে বাড়ানো হয় নতুন কমিটির। এখানে গঠনতন্ত্র মানা হয়নি। এগুলো নিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলেমরা প্রতিবাদ জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি। শুধু কয়েকজনকে পদায়ন করে ক্ষোভ উপশম করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দাবি অনুযায়ী বেফাকে কোনো সংস্কার হয়নি। এটা নিয়ে আলেমরা অসন্তুষ্ট।

বেফাকের কমিটি
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বেফাকের পুনরায় সভাপতি হন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত ১৫ বছর ধরে এই পদে আছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে বেফাক প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেফাকের সভাপতি ছিলেন- মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস রহ.। এরপর মাওলানা মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী (১৯৯২-৯৬), মাওলানা নুরুদ্দীন আহমাদ গহরপুরী (১৯৯৬-২০০৫) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সাল থেকে আল্লামা শাহ আহমাদ শফী বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, তখনও হাটহাজারী মাদরাসা বেফাকের আওতাভুক্ত হয়নি। এমনকি এখনও বেফাকের কেন্দ্রীয় সব পরীক্ষায় হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা অংশ নেন না। এটা নিয়েও ক্ষোভে রয়েছে। এর বিরোধীতা করায় বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ মাওলানা আনাস মাদানীকে বলে খাস কমিটি বিপুলপ্তির জন্য প্রলুব্ধ করছেন। ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে বিষয়টি প্রমাণিত।

দশম কাউন্সিলের পর ঘোষিত নির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি রয়েছেন প্রায় ত্রিশ জন। মহাসচিবের দায়িত্ব পান জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিবাদাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর বেফাকের পুরনো কমিটির মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদীর মৃত্যুর পর থেকেই বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর আগে সংস্থাটির মহাসচিব ছিলেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা আজীজুল হক রহ. (১৯৭৮-৮২), মাওলানা আতাউর রহমান খাঁন রহ. (১৯৮৩-৯১) ও মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার রহ. (১৯৯২-২০১৬)। মাঝে ২০০৫ সালে মুফতি রুহুল আমীন ছয় মাস মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন আটজন। সহকারী মহাসচিব নিয়োগেও নিয়ম মানা হয়নি। একই মাদরাসা থেকে সদস্য করা ছাড়াও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আল্লামা শফীর অনুসারীদের। এটা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে আলেমদের মাঝে।

আলেমদের আশা-আকাঙ্খার বেফাক
১৯৭৮ সালের এক উলামা সম্মেলনে গঠিত হয় বাংলাদেশ কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক। ২৬ বছর পর ২০০৬ সালে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয় করে বোর্ড। কিন্তু এখনও নিজস্ব জায়গায় পরিকল্পিত কোনো ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। দেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম চলছে জীর্ণ আধাপাকা ভবনে।

প্রতিষ্ঠার পর ঢাকার এমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসায় স্থাপন করা হয় বেফাকের অস্থায়ী কার্যালয়। এরপর তা স্থানান্তরিত হয় ঢাকার নয়া পল্টনে একটি ভাড়া বাড়িতে।এ দুই জায়গায় আড়াই দশক পার করে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় নিজস্ব ভূমিতে পা রাখে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

বহু চেষ্টার পর বেফাকের নিজের হয় মূল্যবান ২৭ শতাংশ জমি। বেফাকের সাবেক সভাপতি আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ. নিজে এ জমি বায়না করেন এবং কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হয় তার মূল্য। নিজস্ব ভূমিতে স্থায়ী ও পরিকল্পিত বহুতল ভবনের জন্য রাজউকের অনুমোদন মিলেছে ২০১৮ সালের শেষভাগে। বেফাকের ইচ্ছা, ২৭ শতাংশ জমির ওপর দুটি বহুতল ভবন করার। দুটি ভবনই হবে ১০তলা বিশিষ্ট। এসব ভবনে থাকবে- মসজিদ, বিষয়ভিত্তিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার, পাঠাগার, গবেষণাগার, অডিটোরিয়াম, বিশ্রামাগার, প্রত্যেক বিভাগের ভিন্ন ভিন্ন অফিস, বেফাকের স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকশনা প্রতিষ্ঠান এবং বই বিক্রয় কেন্দ্র।

আগামী পর্বে: আগের অভিযোগের সুরাহাও হয়নি

   

ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহতদের ৫ জন একই পরিবারের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের শহরতলীতে বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জনের মধ্যে ৫ জন ছিলেন একই পরিবারের।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দিপনগর এলাকায় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের নিহত পাঁচজন হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬), হাবিব মোল্লা (৩) ও রফিক মোল্লার মা। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুল আলম বলেন, পিকআপভ্যানটি ভাড়া করে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। পথে মাগুরাগামী বাসের সঙ্গে ওই পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহদের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

 

 

;

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপে না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপে না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভাবে হয়, কেউ কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ সময় তিনি বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানামতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন বলেও মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। আমাদের জানামতে, স্থানীয়পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

উপজেলা নির্বাচনের একজন প্রার্থীকে অপহরণ করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত বড় একটা নির্বাচন, তাতে টুকটাক কিছু ঘটনা যে ঘটবে না, ঘটেনি তা নয়। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। প্রশাসনিকভাবে আমরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কতজন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কতজন প্রার্থী, আমরা সেটা হিসাব করে দেখার তাগিদ অনুভব করিনি। আমরা সবাইকে সুযোগ দিয়েছি।

জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে কাউকে না যেতে আহ্বান করেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতের আহ্বান নিয়ে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া আমরা দিচ্ছি না।

বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে পিছিয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি রাষ্ট্রদূতকে বলব, আপনার দেশ গণতন্ত্র সূচকে কত ধাপ পিছিয়েছে?

দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্রব্যমূল্য একটা সহনীয় অবস্থায় রাখার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে এফোর্ড দিচ্ছেন, তা বিরল। ঈদে অর্থ প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে। অর্থ লেনদেনের যে গতিময়তা, তা আমাদের অর্থনীতিতে একটা গতিশীলতা নিয়ে এসেছে। সে সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর যে প্রয়াস তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ পার্টি হিসেবে আমরা তার নির্দেশনা মেনে চলব।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

;

জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যের মধ্যে জোরালো সম্পর্ক আছে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে জানিয়ে পরিবেশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যের মধ্যে একটা জোরালো সম্পর্ক আছে। আমরা যখন এনএপি চূড়ান্ত করি, তখন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কয়েকটা রেফারেন্স ছিল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের জলবায়ু স্বাস্থ্য ও পরিবেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি ডা. ড্যানিয়েল নোভাকের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) নিয়ে আপনারা জানেন। ২০২২ সালে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে লক্ষ্য করেছিলাম জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যের মধ্যে একটা জোরালো সম্পর্ক আছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের যে ১১৩টি এজেন্ডার মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কোনো কাজ করিনি। এখন আমরা ভাবছি, এনএপিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে জরিপ আমরা করেছি বা বিভিন্ন তথ্য আমরা পাচ্ছি, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকা ও নারীদের মধ্যে নীতিবাচক প্রভাব আছে। এতে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি চলে আসে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় এমনিতেই অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেখানে লবণাক্ততা একটি বড় চ্যালেঞ্জ আছে। সুপেয় পানির সংকট আছে, তারওপর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও চলে আসে।’

‘যদিও স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমাদের পরিবেশে সরাসরি আসে না। তারপরেও যখন জনস্বাস্থ্যের কথা বলি, তার সঙ্গে পরিবেশের একটা সম্পর্ক আছে। কাজেই একদিকে উন্নয়ন, আরেকদিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য। এই তিনটি একজায়গায় চলে আসে। কাজেই আমাদের পক্ষে নতুন করে একটি ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব না, প্রয়োজনও নেই। তবে বর্তমানে ম্যাপের যে কাঠামো আছে ও ১১৩টি এজেন্ডায় স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে আসতে চাই’।

‘ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাস অনেকদিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তারা আগেও তাদের কিছু সুপারিশ আমাদের জানিয়েছে। কাজেই কীভাবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সামনের দিকে যেতে পারি, তা নিয়ে আজ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি,’ যোগ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

‘আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যকে যে ধরনের গুরুত্ব দেওয়া উচিত, আগামীতে সেটা আমরা করতে চাই। আমরা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের ম্যাপ করবো না, তবে বর্তমানে যে ম্যাপ আছে, তাতে স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে যোগ করতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সুইডেনের সঙ্গে আমাদের যে উন্নয়ন সম্পর্ক আছে, এই ক্ষেত্রটিকে ধরে সেটিকে আরও জোরদার করতে চাই।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সুইডিশ দুতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম।

;

লিটারে ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। লিটার প্রতি ১০ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। এছাড়াও বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

এর আগে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৩ টাকা। আর লিটারে খোলা তেলের দর পড়বে ১৪৯ টাকা। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার বিক্রি হবে ৮০০ টাকায়।

এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।

 

 

;