খুলনায় ত্রিপল মার্ডারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আটক
খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী এলাকার আটরা গিলাতলা ইস্টার্ণ গেটে ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসানকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মূল অভিযুক্ত ৩ জন শেখ মোঃ জাকারিয়া, মিল্টন, জাফরীন হাসানের মধ্যে ১ জন আটক হয়েছে। এছাড়া জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও সহযোগী জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও মূল অভিযুক্তদের আরো দুইজন শেখ মোঃ জাকারিয়া ও মিল্টনকে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে বাড়িতে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় শেখ মোঃ জাকারিয়া, তার ভাই জাফরীন হাসান ও মিল্টন। এ সকল বিষয়ে গ্রামবাসী মিলে জাকারিয়ার বাড়িতে কথা বলতে যায়। কথা বলার একপর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতে শেখ মোঃ জাকারিয়া, জাফরীন হাসান, কবির ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।
গুলিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুল নিহত হন। পরে খুলনা মেডিকেলে সাইফুল ইসলাম নামে আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনায় খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লাহ শেখের ছেলে আফসার শেখ (৬৫), রজব আলী শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (২৬), নজরুল শেখের ছেলে জুয়েল শেখ (৩৫), মৃত আলকাস শেখের ছেলে রানা শেখ (২২), আফসার শেখের ছেলে রবি শেখ (৪০), আকরাম শেখের ছেলে শামীম শেখ (২৫), সহ আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া ওই রাতেই গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হন মূল অভিযুক্ত জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ।