কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২ লক্ষাধিক বানভাসি মানুষ। ত্রাণ স্বল্পতার কারণে চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় তীব্র হয়ে উঠছে গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বন্যার পানি একটু কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো আমার উপজেলায় ৮৫ ভাগ মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন। আমার উপজেলায় যে পরিমাণ সহায়তা দেয়ার প্রয়োজন, সে হিসেবে তেমন বরাদ্দ পাচ্ছি না।’
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২০ জুন থেকে এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জনই শিশু।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমার সাথে সাথে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠছে বলেও জানান তিনি।