হুমায়ূন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
কোরআনখানি, কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুলাই) গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেন স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার নুহাশপল্লীতে অনুষ্ঠানসূচি ছিল সংক্ষিপ্ত এবং লোকসমাগমও ছিল অন্যান্য বছরের চেয়ে কম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতের উপস্থিতিতে লেখক-প্রকাশকসহ অন্যান্য ভক্তরা কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, অভিনেতা সিরাজুল কবির কমল, ‘অন্য প্রকাশ’ প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী নাসির আহমেদ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশ পল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মুজিবুর রহমান। এ সময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।