'পানিতে করোনার সংক্রমণ রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে'
পানিতে করোনার সংক্রমণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও ঢাকা ওয়াসার ভূমিকা নিয়ে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে বার্তা২৪.কম। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
তিনি বলেন, এমন কোনো অথেনটিক পাবলিকেশন এখনো বলেনি পানির দ্বারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়। ধরে নিলাম আছে, তারপরও আমরা ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে ক্লোরিন ব্যবহার করি। এসময় আমরা আরো বেশি কেয়ারফুল ছিলাম। আমাদের এবার এটিতেই কেয়ার রেখেছি যাতে পানিতে করোনা থাকলেও যেনো সেটি মরে যায়। কঠিনভাবে আমরা প্রতিটি পাম্পে ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের সকল মনিটরিং ব্যবস্থা ছিলো। আমাদের ৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও সবাই সুস্থ। তারপরও আমাদের সঠিক মনিটরিং ছিলো।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পানির মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি করোনা পরিস্থিতির এক মাস আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে সেটি অ্যাফেকটিভ হয়েছে করোনার শনাক্ত হওয়ার মাসটিতে।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অ্যামিরেটাস অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন এবং ওয়াশ (হাইজিন) করার বিষয়ে ওয়াসার ভূমিকা আছে। আমাদের সুয়েজের একটি অংশ আশেপাশের নদীগুলো দূষিত করে এবং সেই সঙ্গে করোনা পার্টিকেলগুলো এর সঙ্গে থাকে। আমাদের জরুরি যে বিষয়টি দরকার ছিলো তা হলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সিস্টেমটাকে একটু ভালো ভাবে মনিটরিং করা। কারণ আমরা যেহেতু এই পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করি, সুতরাং দেখা উচিত ছিলো কো-অর্ডিনেশন ঠিক মতো হচ্ছে কিনা। করোনা পার্টিকেলগুলো ইনেকটিভ করতে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে তা পানির মিশে যেতে পারে, আর এর পরিণতি ভয়াবহ। কারণ যে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত পানিতে করোনা পার্টিকেল থাকলে সেই পানি আমাদের পরিষ্কার করার চেয়ে করোনার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বস্তিতে যে পানি সরবরাহ করা হয়, সেখানে হয়ত একটি ওয়াটার পয়েন্ট আছে। সেখানে লোকড়া হয় বেশি। এক্ষেত্রে তাদেরকে অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের আওতায় আনার দরকার ছিলো। কারণ তারা যাতে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে। পানি সরবরাহের যে প্রকল্প রয়েছে সেগুলো মনিটরিং করা দরকার। আরেকটি বিষয় হচ্ছে পানি সরবরাহের অপারেশনাল একটিভিটি। এক্ষেত্রে যারা কাজ করে তাদেরও মনিটরিং করা দরকার।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রকৌশলী হাসিন জাহান বলেন, বস্তিবাসীকে পরিচ্ছন্নতার জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পানির ব্যবস্থা বস্তিবাসীরই করতে হবে। আমার দাবি যাতে তাদের স্বল্পমূল্যে পানি সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সামর্থবানদের দাম বাড়িয়ে তাদের ক্ষেত্রে কমানো যেতে পারে।