এখনো সরেনি বন্যার পানি, বানভাসিদের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ



মো. জুয়েল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুিড়িগ্রাম
এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে ঘর-বাড়ি

এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে ঘর-বাড়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের প্রধান দুটি নদ-নদী ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি সামান্য কমলেও বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং এক মাস ধরে এই দুটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকেই এগোচ্ছে।

এ অবস্থায় জেলার প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক চরাঞ্চলের প্রায় চার লক্ষাধিক বন্যা দুর্গত মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে গবাদি পশু নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন পার করছেন। এই দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকা দুর্গম চরাঞ্চলের পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পরিবার পরিজন, গৃহপালিত পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এতে করে উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা।

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চর, বালাডোবার চর ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চর, চর যাত্রাপুরসহ কয়েকটি চরের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের বন্যার রেকর্ড ভেঙে এবার বেশি সময় অতিবাহিত হতে চলেছে। পানি নেমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। ফলে তারা ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ার আশায় দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নৌকায় এবং ঘরের ভেতর এক বুক আর গলা পানিতে মাচা বানিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে তারা খাওয়া ও ঘুমানো, স্যানিটেশনের কষ্ট, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও গৃহপালিত পশু পালনে কষ্ট করছেন।

জেলার বন্যা কবলিত দুর্গম এলাকার চর ও দ্বীপ চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে সেখানকার বেশির ভাগ চরের বাড়ি ফাঁকা পরে আছে। পরিবার পরিজনও গরু, ছাগল, ভেড়া উঁচুতে রেখে এসে দুই বা তিনজন করে বন্যার্ত মানুষ নৌকায় করে পড়ে থাকা ঘর-বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে যে চরগুলোতে দুর্গত মানুষজন নৌকায় ও ঘরের ভেতর কষ্ট করে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু সেখানকার বেশিরভাগ ঘর-বাড়ি এখন ফাঁকা পড়ে আছে।

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুরের ইয়াছিন আলী জানান, নদের অববাহিকায় তারা ১০টি পরিবার বসবাস করছিলেন। তারা কষ্ট করেই এতদিন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এই এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানি নামবে নামবে করে নামছে না। পানিতে ছোট ছোট বাচ্চা, গরু, ছাগল নিয়ে আর কতদিন থাকা যায়। তাই পার্শ্ববর্তী উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এখন নৌকায় বসে থেকে দিন-রাত ঘর-
বাড়ি পাহারা দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে পানির স্রোতে ঘর-বাড়ি ভেসে যায় কিনা। আবার কোনো কিছু চুরি হয় কিনা সেই ভয়ে।

অন্যদিকে, কিছু চরের ঘর-বাড়িতে এক কোমর ও হাঁটু পানি থাকায় সেসব চরের বাসিন্দারা পানির মধ্যেই কষ্ট করে জীবন যাপন করছে।

বন্যা কবলিত চরাঞ্চলসহ উঁচু বাঁধ, পাকা সড়ক ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষজনের এখন একটাই অভিযোগ, তারা খেয়ে না খেয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পানির মধ্যে বসবাস করলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা তাদের কোনো খোঁজও নেননি এবং ত্রাণও দেননি। দুর্গত এলাকাগুলোতে সাংবাদিক দেখলে তারা ছবি তুলতে বাধা দিয়ে খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সহ নান সংকট দেখা দিয়েছে

এ ব্যাপারে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের সাথে কথা বললে তারা বন্যাকবলিত মানুষের কষ্টের কথা স্বীকার করে জানান, তাদের ইউনিয়নে যে পরিমাণ বন্যা কবলিত পরিবারের সংখ্যা রয়েছে এবং যে পরিমাণ ত্রাণের চাল বরাদ্দ পেয়েছে তা দিয়ে অর্ধেক পরিবারকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলায় বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ৪৯২ মেট্রিক টন চাল, ৪৫ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ, গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা ও ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তাদের কাছে আরও ত্রাণের চাল ও টাকা মজুদ আছে। প্রয়োজনে সেগুলোও বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

   

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এম. বেলাল উদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি একুশে পত্রিকা ও সময়ের আলো’র বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

এতে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাম্বলীপাড়া এলাকার ফরমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) ও মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৮)।

থানায় করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হুমকিদাতা কামাল ও মিজান নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহমদ কবির ওরফে স্বর্ণ মানিকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু ব্যবসার নামে প্রতারণা করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গরু বিক্রির কথা বলে আগ্রাবাদের দিদারুল আলম নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে ছনুয়ায় এনে মারধর করে। পরে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি নিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি নিয়ে একুশে পত্রিকা ও দৈনিক সময়ের আলোতে ‘‘গরু বিক্রির নামে সর্বস্ব লুটে নেয় ওরা” ও একুশে পত্রিকায় “বাঁশখালীতে আতংকের নাম মানিক বাহিনী, নিঃস্ব বহু মানুষ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন।

এরই জের ধরে গত ২৭ মার্চ বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে ২নম্বর বিবাদী কামাল উদ্দিন (০১৯৩০৭২২২১৮) নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি প্রদান করেন কামাল। এ সময় তার পাশে থাকা মিজানকে বেলালের মা-বাবার নাম ধরে বকতে শোনা যায়। কামাল উদ্দিন আমাকে মুঠোফোনে বলে, এলাকার ছেলে। সবার সাথে ভালো থাকার চেষ্টা করবি। তোর সাথে আজকেই দেখা করতে চাই। কামাল উদ্দিন ফোন করার ৫ মিনিট পর মিজানুর রহমান (০১৮১৮২৫৮৭২৮) নম্বর থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একই দিন রাত আনুমানিক ১১টা ৩৩ মিনিটে কামাল ও মিজান সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের বাড়িতে যান। এসময় দু'জন বলে, আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করে দেশ কানা করতেছে। এলাকার ছেলে হিসেবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে বলবি। না হয় তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কামাল ও মিজানের বৈধ কোনো পেশা নেই। মূলত নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু বিক্রির নামে লোকজন এলাকায় এনে মারধর করে। পরে অস্ত্র ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ছবি তুলে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি আদায় করে সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারে না। আমি এসব তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। একই সাথে আমার বাড়ি গিয়ে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।

;

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

;