মুজিববর্ষ উপলক্ষে গুলশানে ৫০০০ গাছের চারা রোপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির চালু করেন। সরকারের এই কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আর এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ৫ হাজার গাছের চারা বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে বিএটি বাংলাদেশের 'বনায়ন' প্রকল্প ।

শনিবার (জুলাই ২৫) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম রহমতুল্লাহ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ্ত চক্রবর্তী, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ, গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সংসদ সদস্য এ.কে.এম রহমতুল্লাহ বলেন, ''পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। এদিক বিবেচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীকে সারা দেশে এক কোটি গাছের চারা রোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মহতী এই উদ্যোগে সামিল হয়ে সহযোগিতা করার জন্য বিএটি বাংলাদেশ এবং গুলশান সোসাইটিকে আমি সাধুবাদ জানাই।''

এ বিষয়ে বিএটি বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ বলেন, "মুজিববর্ষে গুলশান সোসাইটির বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে আমাদের বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ বিভিন্ন জাতের ৫ হাজার গাছের চারা সরবরাহ করার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছি। মহৎ এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার জন্য গুলশান সোসাইটিকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে বনায়ন সহ আরও নানান সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পথ সুগম হলো।''

১৯৮০ সাল থেকে সারাদেশে 'বনায়ন' প্রকল্পটি পরিচালনা করে আসছে বিএটি বাংলাদেশ, বেসরকারি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। এ বছর ‘বনায়ন’ এর ৪০ বছরে পদার্পণ এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ৫০ লক্ষেরও বেশি গাছের চারা বিনামূল্যে সরবরাহ ও রোপণের কর্মসূচি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

   

জলাবদ্ধতা নিরসনে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশনা মেয়রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত বিভিন্ন উদ্যোগ ও বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য কাউন্সিলরদেরকে মাঠে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দ্বিতীয় পরিষদের ২৪তম করপোরেশন সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নির্দেশনা দেন।

শেখ তাপস বলেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যাগুলোর একটি জলাবদ্ধতা। দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, খাল-নালা-নর্দমা হতে বর্জ্য অপসারণসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। অনেক জায়গায় এখনো কাজ চলমান রয়েছে এবং নতুন করে অনেক জায়গায় কাজ হবে। এই সামষ্টিক কার্যক্রমে আপনাদের নিরলস কর্ম প্রয়াস আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে। তাই, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাঠ পর্যায়ে আপনাদের তদারকি আরও বাড়াতে হবে। সেসব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অতীতের চাইতে আরও বেশি মাঠে থাকতে হবে।

হাঁটার পথ, রাস্তার ঢাল ও নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমে কোনো ধরনের গাফিলতি ও অবহেলা যেন থাকে সে বিষয়ে কাউন্সিলরদেরকে তদারকি জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের হাঁটার পথ ও রাস্তার মধ্যে নর্দমার যে মুখগুলো থাকে সেগুলো সংস্কার এবং ঢালগুলো ঠিক করতে ইতোমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে দ্রুত পানি নিষ্কাশিত হতে পারে। এছাড়াও আমাদের নর্দমাগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হবে। সেগুলোর দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নর্দমাগুলো যেন সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়, এ কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি-অবহেলা না থাকে সেগুলোও আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন বলে আশা করি।

দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কাউন্সিলরবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

করপোরেশন সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মো. মনজুর রহমান (৫০) ও মোছা. মাহবুবা (৩৯) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের আমতলী মোড় বঙ্গবন্ধু সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন- সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোবিন্দনগর বিসিক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. মনজুর রহমান ও পঞ্চগড় জেলার নতুনবস্তি এলাকার মো. ময়নুল হকের মেয়ে মোছা. মাহবুবা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, দুপুরে একই মোটরসাইকেলে করে মো. মনজুর রহমান ও তার সহকর্মী মোছা. মাহবুবা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় পিছন থেকে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুজনে গুরুত্ব আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। ভিকটিমের মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

;

চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা

চট্টগ্রামে তরমুজের দোকানে ভোক্তা অধিকারের হানা

  • Font increase
  • Font Decrease

মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করায় চট্টগ্রামে দুই দোকানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজ নগরীতে তরমুজ বিক্রির প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। তদারকিকালে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

তারা ক্রয় রশিদ ও বিক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করলে বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম নেন। বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা একজন ভোক্তার কাছে তথ্য পেয়েছি, একটু আগে তার কাছ থেকে এক পিচ তরমুজ ৮০০ টাকা চেয়েছেন।

;

পানির অভাবে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির চাষ অনিশ্চিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)। ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে জিকে খাল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ পাম্পটি অকেজো হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। এতে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমির চাষে সেচ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠালেও তাতে কৃষকের খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে।

এদিকে জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে কৃষক জোট। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পানি শূন্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কয়েকশ'  কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমে ধান চাষে জিকে খালের পানির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো পানি পাচ্ছে না। অতিকষ্টে তাদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানির সংকট রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানির অভিযোগও করেন বক্তারা।


জানা যায়, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় পানি সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পদ্মা নদী থেকে তিনটি পাম্পযোগে এ চারটি জেলায় পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাম্প বন্ধ রাখা হয়।

পাম্প দিয়ে ওঠানো পানি চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে যায়। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালগুলোতে পানি থাকলে সেচ সুবিধাসহ আশপাশের টিউবওয়েল ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। পদ্মায় পানির স্তর স্বাভাবিক থাকলে প্রতি পাম্পে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৮৫ লিটার পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।

তিনটি পাম্পের মধ্যে ২০১৭ সালে প্রথমটি ও ২০২১ সালে দ্বিতীয়টি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর মাত্র একটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের কৃষক আশাদুল হক জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে পানি না পাওয়ায় দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এ বছর সেচ খালের আওতাধীন ৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ পানি শূন্য হয়ে গেছে খালটি। ধানি জমিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিকল্প হিসেবে ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের সাহায্য পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৫শ' টাকার তেল কিনতে হচ্ছে। এ বছর পানির অভাবে ধানের ফলন কম হবে, খরচও বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে।  

এ বিষয়ে ভেড়ামারা যান্ত্রিক পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে জিকে সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পই যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে রয়েছে। সবশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর পাম্পটি অকেজো হয়ে যায়। ফলে বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ। তিনি আরও বলেন, আমরা পাম্পগুলো সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা এখনি বলা সম্ভব না।

চলতি মৌসুমে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন সম্ভাবনা নেই। কারণ পাম্পটি চালু হলেও পদ্মা নদীতে বর্তমানে পানির লেভেল মোটামুটি অনেক কম। সব মিলিয়ে হয়ত এ মৌসুমে চালু করা সম্ভব হবে না।

;