পানির নিচে ৫ নার্সারি, ১১ লাখ টাকার ক্ষতি
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ নার্সারি। এতে নার্সারি মালিকদের অন্তত ১১ লাখেরও বেশি টাকার ফল ও ফুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ১৫-২০ দিন যাবত নার্সারিগুলোতে বন্যার পানি স্থায়ী হওয়ায় শিকড় মরে সকল চারাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। কেউ আবার জমি লিজ নিয়ে নার্সারি গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু বন্যার পানিতে নার্সারির সব চারা প্লাবিত হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত ২৪টি নার্সারিসহ উপজেলায় মোট ৬১টি নার্সারি রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে বন্যা দেখা দেয়। এতে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের জাহেদ মিয়ার সুজন নার্সারি, পাইকুড়া ইউনিয়নের উত্তরাটি গ্রামের মাহবুব আলমের সুমন নার্সারি, একই ইউনিয়নের পাড়াতলী গ্রামের হুমায়ূনের ভাই ভাই নার্সারি, মাসকা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের আব্দুল বারেক ভূইয়ার রুনা নার্সারি ও গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামের বরকত উল্লাহ নার্সারি সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে এবং সুজন নার্সারির ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ হাজার গাছের চারা, সুমন নার্সারির আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৬০ হাজার গাছের চারা, ভাই ভাই নার্সারির ২ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ হাজার গাছের চারা, রুনা নার্সারির ২ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার গাছের চারা ও বরকত উল্লাহ নার্সারির ২ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার গাছের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুজন নার্সারির মালিক জাহেদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, অন্যের কাছ থেকে এক একর (১০০ শতাংশ) জমি লিজ নিয়ে উন্নতমানের আম, চায়না লিচু ও মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬০ হাজার গাছের চারা বিক্রির জন্য তৈরি করে তুলছিলাম। কিন্তু বন্যার পানি সব চারা নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি ও রুনা নার্সারির মালিক আব্দুল বারেক ভুইয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বন্যার পানিতে আমার নার্সারির ২ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার গাছের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা যারা বন্যায় ক্ষতির শিকার হয়েছি সরকারি সহযোগিতা না পেলে আমাদের পথে বসতে হবে। কারণ নার্সারি ব্যবসা করেই আমাদের সংসার চলে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে যেসব নার্সারি মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের সভায় আলোচনা করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতার জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।