করোনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও আইসিআরসি এক সঙ্গে কাজ করছে
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) কারাগারের বন্দী এবং এর কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে বাংলাদেশের কারা অধিদপ্তরের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। অতি সম্প্রতি, কারারক্ষীদের জন্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আবাসন (তাঁবু) স্থাপনে সহযোগিতা করেছে আইসিআরসি।
বুধবার (২৯ জুলাই) ঢাকাস্থ আইসিআরসি কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় আইসিআরসি কারারক্ষীদের আবাসনের জন্য পাঁচটি তাঁবু হস্তান্তর করেছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থাপন করেছে। পাশাপাশি, জীবাণুনাশক এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) দিয়ে সহায়তা করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনটি কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনে কারা অধিদফতরকে সহায়তা করেছে আইসিআরসি। পাশাপাশি, ফেনী এবং কিশোরগঞ্জ কারাগারে আইসোলেশন সেন্টারের অবকাঠামো ও সেবার ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে তারা। এছাড়া কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ৭০-শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালুর কাজ চলছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সংস্থাটি সহায়তাগুলোর মধ্যে রয়েছে- কেন্দ্রগুলোর পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, নীতিমালা তৈরির জন্য কারিগরি সহায়তা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন। চিকিৎসা সেবায় এবং স্যানিটেশন সরঞ্জামগুলির পাশাপাশি আসবাবপত্রও এসব আইসোলেশন সেন্টারে সরবরাহ করা।
আইসিআরসি'র অব্যাহত সহায়তার কথা ব্যাখ্যা করে, আইসিআরসি বাংলাদেশের প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর হেনিং ক্রাউসে বলেন, 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই আমরা কারাগারগুলোতে মহামারী রোধে প্রয়োজনীয় দিকগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে পেরেছি। বন্দী ও কারাগারের অন্যান্য সদস্যদের এ মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে কারা অধিদফতরের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি'।
মহামারির কারণে কারাগারগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং এ কারণেই আইসিআরসি কোভিড-১৯ মহামারিতে সহায়তা কার্যক্রম আরো জোরদার করেছ। কারা অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এপ্রিল ও মে মাসে দেশের ৬৮টি কারাগারে পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছিল। এর আগে কারা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের মেডিকেল স্ক্রিনিং সক্ষমতা আরো শক্তিশালী করতে ১৩৫টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার হস্তান্তর করা হয়।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব রোধে কারা অধিদফতরের সচেতনতা ও প্রস্তুতি জোরদার করতে আইসিআরসি'র প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, 'আইসিআরসি সক্রিয়ভাবে করোনা সংকটের সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কারাগারে আমাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে। আমরা ভবিষ্যতেও কারাগারে বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে আইসিআরসির অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি'।