পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে কাঁঠালবাড়ীর ২ ফেরিঘাটের পল্টুন অকেজো
পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ৪টি ঘাটের মধ্যে ২ টি বন্ধ রয়েছে।
১ ও ৪ নং ফেরি ঘাটের গাড়ি উঠা-নামার পথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘাটের ২ ও ৩ নং ফেরিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। এরমধ্যে ২ নং ফেরিঘাটের পথও পানিতে ডুবে গেলে মাটি, ইট ও সুরকি (ইটের খোয়া) দিয়ে উচু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে- কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিতে যানবাহন পারাপারে ৪টি ঘাট ব্যবহৃত হয়। তবে গত ১৫ দিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে দুটি ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওই ঘাট দুটি বন্ধ রয়েছে। অন্য দুটি ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে কাঁঠালবাড়ী ঘাট ঘুরে দেখা গেছে- ১ নং ফেরিঘাটের প্রবেশ পথ পানিতে ডুবে আছে। ঘাট থেকে ফেরি উঠার রাস্তা পুরোপুরি তলিয়ে যাওয়ায় ঘাট দুইটিতে যানবাহন ওঠানাম বন্ধ রাখা হয়েছে। পল্টুনে বেধে রাখা হয়েছে লঞ্চ। এছাড়া ৪ নং ঘাটটিও পানির কারণে বন্ধ। ২ নং ফেরি ঘাটটি সংস্কার করে চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২ ও ৩ নং ঘাট সচল রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নৌরুটে ১৮টি ফেরির মধ্য ৩টি রোরো, ৪টি কে ধরন ও ৩ টি ছোট ফেরিসহ মোট ১০টি ফেরি চলছে।
অন্যদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে লঞ্চ ঘাটের ৪টি সিড়ির মধ্য একটি সিড়ি পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ২টি সিড়ি বালুর বস্তা ও কাঠ দিয়ে একটু উঁচু করা হলেও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নিয়ে লঞ্চে উঠানামা করছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ট্রাফিক ইনচার্জ আক্তার হোসেন বলেন, “পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে ঘাটের ২টি ফেরিঘাট ও একটি লঞ্চের সিড়ি পানিতে ডুবে গেলে ওই ঘাটগুলোর সিড়ি যাত্রী ও যানবাহনের ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমরা কয়েকটি তলিয়ে যাওয়া সিড়ি বালু, ইট, কাঠ দিয়ে একটু উচু করে যানবাহন ও যাত্রী চলাচল উপযুক্ত করেছি।”