রংপুরে ঈদুল আজহার জামাত আয়োজন সম্পন্ন
মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে এবার ঈদগাহ মাঠ ও ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে দেশের অন্যান্য জেলার মতো রংপুরেও মসজিদে মসজিদে নেয়া হয়েছে ঈদ জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি।
শনিবার (১ আগস্ট) রংপুর মহানগরসহ জেলার প্রায় ছয় হাজার মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল সোয়া ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বছর রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেকটি মসজিদ কমিটি সুবিধাজনক সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আয়োজনে প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এবার রংপুর নগরীর কোর্ট মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এতে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। এছাড়া কেরামতিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও সকাল সাড়ে ৯টা, পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট ও সকাল সাড়ে ৮টায়, শাপলা চত্বর আশরাফিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, জুম্মপাড়া করিমিয়া মাদ্রাসায় সকাল সোয়া ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র মতে, রংপুর মহানগরসহ জেলার আট উপজেলাতে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজার ৯০টি তালিকাভুক্ত মসজিদ রয়েছে। এছাড়া বেশকিছু ওয়াক্তি মসজিদ এবং নির্মাণাধীন নতুন মসজিদ রয়েছে, যা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি। সবমিলে প্রায় ছয় হাজার মসজিদ রয়েছে এই জেলায়। এসব মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় এই উৎসবকে ঘিরে অন্যান্য জেলার মতো রংপুরেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু সদনগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।