আগের মতো জৌলুস নেই চামড়া প‌ট্টিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
আগের মতো জৌলুস নেই চামড়া প‌ট্টিতে

আগের মতো জৌলুস নেই চামড়া প‌ট্টিতে

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব‌্যাপী চামড়ার তৈরি পণ্যের দারুণ রকমের চা‌হিদা থাকলেও দেশে আচমকা কদর নেই কাঁচা চামড়ার। দেশের অন‌্যান‌্য স্থানের মতো খুলনাতেও কাঁচা চামড়া বি‌কি‌কি‌নি চলছে সস্তা দামে। এতে হতাশ হচ্ছেন চামড়া বেচা কেনার সাথে সং‌শ্লিষ্টরা। চামড়ায় রেকর্ড প‌রিমাণ দরপতনকে এ সমস‌্যার অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা।

রোববার (০২ আগস্ট) খুলনার চামড়াপট্টি হিসেবে প‌রি‌চিত শেরে বাংলা রোডে ঘুরে দেখা যায়, সংগ্রহ করা চামড়ায় লবণ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার মাত্র ৬ জন ব‌্যবসায়ী চামড়া সংগ্রহ করায় আগের মতো জৌলুস নেই চামড়া প‌ট্টিতে। রেকর্ড পরিমাণ দরপতনে সারা দেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলেও এবারের কোরবানির চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। বিভাগীয় শহর খুলনায় যাতয়াত খরচের অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করে হতাশ হচ্ছেন বিক্রেতারাও।

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, চামড়ার দরপতনের কারণে খুলনাঞ্চলে গত বছরের মতোই এবারও চামড়ার কদর নেই। এ কারণে পাড়া-মহল্লা থেকে খুবই অল্প দামে চামড়া সংগ্রহ করেছে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ছোট গরুর চামড়া কেনেননি কেউ। ছাগলের চামড়াও কেনাবেচা হয়নি। শুধুমাত্র বড় গরুর চামড়া কেনাবেচা হয়েছে, তাও আবার বিগত বছরে ছাগলের চামড়ার যেমন দাম ছিলো তা এবার বড় গরুর চামড়ায় দেওয়া হয়েছে। চামড়া বিক্রি করতে এসে পথ খরচও উঠেনি কোরবানি দাতাদের। পুঁজি হারিয়ে ও পশুর চামড়ার দরপতনে খুলনা শেখপাড়ায় চামড়ার বেশিরভাগ আড়ত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এবার ঈদে আগের মতো আয়োজন করে পশুর চামড়া কিনতে দেখা যায়নি চামড়া প‌ট্টিতে। খুলনা চামড়া প‌ট্টিতে অর্ধশতা‌ধিক ব‌্যবসায়ী আগে চামড়া সংগ্রহ করলেও এবার সে সংখ‌্যাটা মাত্র ৬ জন। আগে কোরবানির সময়ে চামড়া পট্টিতে লোকে লোকারণ্য‌্য থাকতো, এখন সেখানে সব‌কিছু নিষ্প্রাণ।

কাঁচা চামড়া বি‌কি‌কি‌নি চলছে সস্তা দামে

মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, গত দুই/তিন বছর চামড়া কিনে বিরাট ধরা খাই‌ছি। এবার সবচেয়ে ভালো ও বড় মাপের চামড়া ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনেছি; তাতেও শুনতেছি লোকসান হতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীবার থেকে হয়তো আর চামড়া সংগ্রহ করতে পারবো না।

নগরীর খাদেমুল ইসলাম সিদ্দী‌কিয়া কা‌মিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল ফজল শেখ বলেন, মাদরাসার জন‌্য সংগ্রহ করা চামড়া ইজিবাইকে করে নিয়ে এসেছিলাম শেরে বাংলা রোডের শেখপাড়া চামড়া পট্টিতে বিক্রি করতে। ৬০ টাকায় ইজিবাইক ভাড়া করে এসে সেই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ৫০ থেকে ১২০ টাকায়। এতে লাভের লাভ তো কিছু হয়নি, বরং যাওয়া আসার খরচটাও উঠেনি। শ্রমও বৃথা, মাদরাসার জন‌্য কিছু সংগ্রহ হয়নি।

খুলনা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ঢালী বলেন, ট্যানারি মালিকরা পাওনা অর্থ না দেওয়ায় পুঁজি সংকটে খুলনার ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ী। যে কারণে তারা একটি চামড়াও কিনেননি। মাত্র ৬ জন ব্যবসায়ী প্রায় দশ হাজার পিস চামড়া কিনেছে এ বছর। আমি নিজেও বহু চামড়া ফেরত দিয়েছি, কিনিনি। খুলনার চামড়াগুলো ফুলতলা, নওয়াপাড়া, যশোর, নাটোর, ঢাকা অঞ্চলে বিক্রি করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, এবার ৫০, ৬০, ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া আমরা কিনিনি। এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া একশ, দেড়শ টাকায় কিনেছি। দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া এবার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনেছি। বর্তমান যা বাজারমূল্য তাতে কোরবানি দাতারা যে চামড়া বিক্রি করতে আসবে, বিক্রয়মূল্যে তো রিকশা ভাড়া উঠবে না। সে কারণে চামড়া সব মাদরাসাগুলোতে দিয়েছেন সবাই। মাদরাসাগুলো কিছু ফ্রি পাইছে, কিছু কিনছে। তারা আমাদের কাছেও কিছু বিক্রি করতে পারে, আবার ফুলতলা সুপারটেক্স লেদার ও নওয়াপাড়ায় ট্যানারিতে বিক্রি করে। সেখান থেকে তারা অগ্রিম অর্থও নিয়েছিল।

চামড়ার বিকিকিনি চলছে

অন্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রসেসিংয়ে একটি চামড়ার পেছনে দুই থেকে তিনশ টাকা খরচ হয়। ক্রয়মূল্য ও প্রসেসিং খরচ দিয়ে সপ্তাহখানেক পর বিক্রি করতে গেলে বুঝবো; লোকসান হবে কি না? কিনতে গেলেও তো ভয়রে ভাই, ট্যানারি মালিকরা টাকা দেয় না। গত বছর ৭০ লাখ টাকার চামড়া দিয়ে একটি পয়সাও পাননি খুলনার চামড়া ব্যবসায়ী শফি। তিনি অর্থ সংকট ও ঋণের চাপে দুশ্চিন্তায় প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছেন, কথাও বলতে পারেন না। কয়েকজন ব্যবসায়ী মারাও গেছেন। খুলনার ব্যবসায়ীদের অন্তত ১০ কোটি টাকা অনাদায়ী পড়ে আছে ট্যানারিতে। সরকার খুলনার প্রান্তিক চামড়া ব্যবসায়ীদের একটি পয়সা সহায়তা করেনি। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিচ্ছে ট্যানারি মালিকদের। অথচ চামড়া শিল্প রক্ষায় প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণও দেয়নি। ঈদের সন্ধ্যায় বৃষ্টি না হলে হাজার হাজার চামড়া নষ্ট হতো বলে যোগ করলেন তিনি।

ফুলতলার সুপার এক্স লেদার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুম মিয়া বলেন, খুলনার মাদরাসাগুলোর লবণ ছাড়া চামড়া কিনে নিজেরাই প্রসেসিং করতেছি। ঈদের দিন ১০ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করেছি। পরিবহন সমস্যার কারণে ঈদের দিন সব মাল এসে পৌঁছায়নি, রোব ও সোমবারও কিছু চামড়া আসবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মার্কেট খুবই খারাপ। ৪০ থেকে ৪৬ সেন্ট বিক্রয়মূল্য চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজারে। সেখানে ৪৬ টাকা কেমিকেল খরচ। বিক্রয়মূল্য থেকে ক্রয়মূল্য যোগ অন্যান্য খরচ সমান সমান করলে দেখা যাচ্ছে- প্রতিটি চামড়া ২০-২৫ টাকা লোকসান থাকছে। সারাদেশের দায়িত্ব তো আমরা নিতে পারবো না! সরকার আমাদের কোনো টাকাও দেয় নাই, ব্যাংক লোনও পাই নাই। আমরা চাইছি- খুলনার মাদরাসাগুলো বাঁচুক, এতিম শিশুগুলো কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করুক। খুলনার যতো মাদরাসা থেকে ফোন করছে, আমরা বলেছি- চামড়া দেন, ন্যায্য দামে শুধু আপনাদেরটাই (মাদরাসার) আমরা নেবো। সে কারণেই মাদরাসা ব্যতীত বাইরের একটি চামড়াও আমরা কিনছি না। খুলনার মাদরাসাগুলো বাঁচানোর জন্য শুধুমাত্র তাদের চামড়াগুলো কিনেছি।

চলছে চামড়া সংগ্রহের কাজ

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, ব্যবসায় লাভ লোকসান থাকে। এবার হয়তো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লোকসান করবে না। কিন্তু ঝুঁকিতে থাকবেন ট্যানারি মালিকরা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ ঘরবন্দী থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। অধিকাংশ মানুষ এখন অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান এই তিনটি নিয়ে ভাবছে। জুতা বা চামড়ার পণ্য ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতিতে কেউ নেই। পৃথিবীর নামি-দামি শো’রুমগুলো বন্ধ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করেছি। কারণ, এসময়ের সংগৃহীত চামড়া দিয়েই আমাদের সারা বছর কাজ করতে হয়। ফ্যাক্টরি চালু রাখতে হয়। শ্রমিকদের বেতন দিতে হয়। সে কারণে ট্যানারি মালিকরাও লোকসান ঝুঁকিমুক্ত নন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ‌্য, ২০১৪ সালেও কোরবানির ঈদে দেশে গরুর চামড়ার বর্গফুট প্রতি দাম ছিল ৭০-৭৫ টাকা। চলতি বছর তা নেমে এসেছে ৩৫-৪০টাকায়। অর্থাৎ ছয় বছরের ব্যবধানে দেশে গরুর চামড়ার দাম ৫০ শতাংশ কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর গত বছরের তুলনায় দাম কমেছে ২৯ শতাংশ।

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;