কথা রাখলেন রাসিক মেয়র লিটন
ঘোষণা অনুযায়ী রাতারাতি রাজশাহী মহানগরীর কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও ঈদের দিন রাতের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপাসারণে রেকর্ড গড়লো রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।
ঈদের পরদিন রোববার (২ আগস্ট) মহানগরী ঘুরে কোথাও কোরবানির বর্জ্য দেখা যায়নি। কোরবানির সব স্পটই ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
এদিকে, রাতারাতি কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে সহযোগিতা করায় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাসিক সূত্র জানায়, ঈদের দিন শনিবার সকাল থেকে বর্জ্য বিভিন্ন রাস্তা এবং পাড়া-মহল্লার গলি থেকে সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬টায় সেখান থেকে বর্জ্য ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।
নগরীর কাদিরগঞ্জ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। পরে একটানা কার্যক্রমে রাত ২টার মধ্যেই নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, বর্জ্য অপসারণ করে কোরবানির স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পেয়েছেন মহানগরবাসী।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১ হাজার ৪০০ পরিচ্ছন্নকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। তারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এই কাজ সম্পন্ন করেছে। সাধারণত ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও কিছু ব্যক্তি পশু কোরবানি করে থাকেন। সেই কোরবানির বর্জ্যও দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।
জানতে চাইলে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা করেই রাতারাতি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছি। রাত ২টার মধ্যেই সব কাজ শেষ করেছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে রাসিকের সর্বস্তরের কর্মীরা। নগরবাসীও রাসিক কর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। ফলে ঈদের পরদিন পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পেরেছি আমরা।