‘শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন সঠিক নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেক বিশেষজ্ঞের মতামতকে ভুল প্রমাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে করোনাভাইরাসের মতো দুর্যোগও মোকাবিলা সম্ভব।

সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে বিরোধী দল ঘরের মধ্যে বসে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে কথা বলে, ঘর থেকে বের হয় না। উঁকি দিয়ে কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে।

কিন্তু আমরা একদিনও বসে ছিলাম না এবং জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কি হতে পারে, সেটি মাথায় রেখে কাজ করেছি। সংকট মোকাবিলায় জনগণের পাশে থাকতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এসময় সিইউজে নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি সংবলিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা বেতন পাচ্ছেন না, যারা চাকরিচ্যুত কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার -এই তিন ক্যাটাগরির সাংবাদিকদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য তিনি তাদেরকে এককালীন সহায়তা প্রদানে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা প্রথম ধাপে সারা দেশে দেড় হাজার সাংবাদিককে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছি। এটি এই দেড় হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পরবর্তী পর্যায়ে আরও চেক বিতরণ করা হবে, জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমাদের আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় সাংবাদিকদের এ ধরনের সহায়তা দেওয়া না হলেও এদেশে তা হচ্ছে। সেখানে সহায়তা করা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের পরিবারকে। আমরাও করোনাভাইরাসের কারণে কোনো গণমাধ্যমকর্মী যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদের পরিবারকেও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এককালীন তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে তা দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে প্রথম মাসে সবকিছু বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনেক কিছু খুললেও এখনো অনেক কিছু খোলেনি। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজকর্ম কখনো বন্ধ ছিল না। সাংবাদিকরা এই করোনাভাইরাসের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে, সংবাদ সংগ্রহ করেছে, সংবাদ পরিবেশন করেছে, যে কারণে পত্রিকা বের হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যদি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ না করতো তাহলে পত্রিকায় ও টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভব পর হতো না। এর জন্য বহু সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ভাই-বোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যাতে সাংবাদিক ভাই-বোনদের বেতন-ভাতা ঠিকমতো দেওয়া হয়। কারণ, করোনাভাইরাসে এমন কোনো সেক্টর নাই যাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি, কিন্তু এ পরিস্থিতি সাময়িক এবং এসময়ে সুবিধা-অসুবিধা ভাগ করেই নেওয়া উচিত।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় সফল। সেজন্যই আমাদের দেশে মৃত্যুহার উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তো কম বটেই এমনকি আক্রান্তদের মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।

পান থেকে চুন খসলেই হৈহৈ রৈরৈ করা সঠিক নয় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অনেক অসুবিধা ছিল, আইসিইউ বেড থেকে শুরু করে নরমাল বেডের সমস্যা ছিল। আজকে আইসিইউ বেড খালি আছে, নরমাল বেডও খালি। প্রথমদিকের পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদগুলো এসেছে সেগুলো আমার চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামে রোগী ৫’শ বেড আছে ৪’শ এ ধরনের খবর পরিবেশিত হয়েছে। অথচ করোনা আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হাসপাতালে যেতে হয় না।

সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেওয়ার জন্য, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা যাতে আরো সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সুতরাং যখন কাজের ত্রুটি হয় সেটি অবশ্যই গণমাধ্যম উঠে আসবে। যখন কাজ ভালো হয় তখন সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন। আজকে যে ভালো পরিস্থিতিতে আমরা আসতে পেরেছি সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

পরে চট্টগ্রাম বিভাগের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে করোনাভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

   

মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন অফিসের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

নির্বাচনে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইসচেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান (দোয়াত-কলম), এসএম মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল), কাজী মুজাহীদুল ইসলাম (হেলিকপ্টার), নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক), ইমদাদুল হক (আনারস), ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল), মফিজুর রহমান (ঘোড়া)।

এ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা), পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), আব্দুল লফিত রানা (মাইক), মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ও সুমন সাহা (চশমা)।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরা খানম (কলস) ও রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমজাদ হোসেন লাভলু (আনারস), ফারুক হোসেন (মোটরসাইকেল) এবং মিকাইল হোসেন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে এসএম আব্দুল হক (তালা), মুনজুর আক্তার (চশমা), শরিফুল ইসলাম (টিয়া পাখি), সন্দীপ কুমার ঘোষ (টিউবওয়েল)। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমেনা বেগম (হাঁস), কাজী মোছা. জলি আক্তার (কলস), মাহবুবা ফেরদৌস পাপিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা), জেসমিন (প্রজাপতি), মাজেদা খাতুন (পদ্মফুল) ও সুরাইয়া আক্তার (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

;

চানখাঁরপুলে ফুটপাতে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর চানখাঁরপুলের ফুটপাত থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ( ঢামেক)হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, সে আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় তার নামপরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে হাতিটি দাঁতবিহীন ছিল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলার রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের দ্বিতীয় গেটে হাতিটির মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মকর্তারা। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদফতরের একটি দল সেখানে আসেন।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম বলেন, গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মৃত হাতি পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেন। বিষয়টি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে যায়।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির মাথায় ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। হাতির দাঁতগুলো কেটে নেয়া হয়েছে। পরে পুলিশের একটি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এছাড়াও ভেটেনারি সার্জন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভেটেনারি সার্জন একত্রে মৃত হাতি ময়নাতদন্ত করবেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। পরে রাতের আধারে হাতিটি এই স্থানে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

;

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন।

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চুয়েট কর্তৃপক্ষ, বাস মালিক সমিতি, পুলিশও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে চুয়েট, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থী ৩ লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দিব। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি। এছাড়া বাস মালিক সমিতি নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও আহতকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কাপ্তাই রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে। এছাড়া রাস্তায় যেন বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য স্পিড ব্রেকার দেওয়া হবে। এছাড়া যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিটসহ সবকিছু আছে কি না তা দেখার জন্য মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে।

সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত শাহ আমানত বাসের চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা করছি।

এসময় চুয়েট উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শীঘ্রই চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১ মাসের মধ্যে নতুন দুইটি বাস সংযোজন করা হবে।

;