বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ সভা করবে সংসদীয় কমিটি
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। রোববার (২৩ আগস্ট) সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে অপপ্রচার বন্ধে রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ দূতাবাসের মাধ্যমে ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান। এ সময় কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আমহেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলার ‘অনানুষ্ঠানিক’ সফরের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি আনঅফিসিয়াল ভিজিটে আসলেন কেন? কূটনৈতিক সফর আনঅফিসিয়াল হয়? মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরকম সফর হয়। আগের সিডিউলড ভিজিট না। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ এবং সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা হবে জানিয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার জন্য আমরা পরবর্তী বৈঠকে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই দিন ক্লোজডোর মিটিং হবে। তবে বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। ওই বৈঠকে কারা উপস্থিতি থাকবেন আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
এদিকে কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জার্মান বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উজবেকিস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে ফার্মাসিউটিক্যাল্স সামগ্রী রফতানি এবং তুলার পরিবর্তে সুতা আমদানির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশি মিশনসমূহে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয়ের কর্মপরিকল্পনা ও করণীয় এবং লেবাননের বৈরুতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ও তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন এবং করোনাভাইরাসে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।