সংসদের ৯ম অধিবেশন বসছে রোববার
করোনা মহামারির মধ্যে আবারও নিয়ম রক্ষার অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় এই অধিবেশন শুরু হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে অধিবেশনের কার্যক্রম। আগের দুই অধিবেশনের (৭ম ও ৮ম) মতো এবারও গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার থাকছে না সংসদে। বিটিভি ও সংসদ টিভি থেকে অধিবেশনের সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে তাদের।
গত ১৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন। সংবিধানের ৬০ দিনের বাধ্যবাধকতার জন্য এ অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের অধিবেশন হবে খুবই স্বল্প সময়ের। এখন পর্যন্ত অধিবেশন ৬ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর এ চার কার্যদিবস চলার কথা। তবে প্রয়োজনে তা দু-তিন দিন বাড়তে পারে। এবারের অধিবেশনেও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখা হচ্ছে। আগের দু’টি অধিবেশনের মতো প্রতিদিন ৭০ থেকে ৯০ জন সদস্য অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়। অসুস্থ এবং বয়স্ক সদস্যদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হবে। আর যারা অংশ নেবেন তারা করোনাকালীন সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেবেন। অধিবেশন কক্ষের আসন বিন্যাসও আগের দু’টি অধিবেশনের মতো দূরত্ব বজায় রেখে করা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন তথা অষ্টম অধিবেশন শুরু হয়ে গত ৯ জুলাই শেষ হয়। মোট ৯ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের বাজেট পেশ ও পাস করা হয়। সে অধিবেশনে বাজেট পাসসহ ১৬টি সরকারি বিলের মধ্যে ৫টি বিল পাস হয়।
এবারের অধিবেশনে তিনটি নতুন বিলসহ মোট ১৪টি বিল রয়েছে। এরমধ্যে বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন করে বিল আসলে অধিবেশনের সময় বাড়তে পারে। তবে গত দুই অধিবেশনের মতো এবারও কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। সাধারণত কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে অধিবেশনের সময়সীমা চূড়ান্ত করেন। এবারও তাই করা হবে।
নবম অধিবেশনে যে সকল বিল বিবেচনাধীন- কাস্টমস বিল, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল, সামুদ্রিক মৎস্য বিল, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিল।
নতুন তিনটি বিল হচ্ছে- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন বিল, কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল।