বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘উদাহরণ’: নসরুল হামিদ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশন

সংসদ অধিবেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, 'আমরা বিদ্যুতের সমস্যা যে ভাবে সমাধান করেছি, বিশ্বের কোনো দেশে এমন কোন উদাহরণ হয় নাই। ২০০৯ সালে সারা দেশে ৪৭ শতাংশ বিদ্যুৎ ছিল বর্তমানে ৯৪ শতাংশ। আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করব।'

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'ঢাকাতে কোনো ভোল্টেজ ফ্ল্যাকসেশন হয় না, সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গ্রামে হতে পারে বেশ কিছু জায়গায়। যেখানে এখনো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারি নাই। আমি বলি না শতভাগ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতায়ন হয়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ৫০ বছর লেগেছে, আমাদের হয়তো ৫০ বছর লাগবে না।'

তিনি আরো বলেন, 'বিদ্যুতের মাস্টার প্লান করেছি ২০১০ সালে। আমরা গ্যাস ম্যানেজমেন্ট মাস্টার প্লান করেছি। গ্যাসের অগ্রাধিকার কোথায় সেই অগ্রাধিকার অনুযায়ী গ্যাস দেব। এখানে অনেক সংসদ সদস্য ঢাকাতে থাকেন। ঢাকার কোনো ভল্টেজ ফ্ল্যাকসেশন হয় না, সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গ্রামে হতে পারে বেশ কিছু জায়গা। যেখানে এখনো নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারি নাই। কিন্তু ঢাকা শহরে সকলেই স্বীকার করবেন ভোল্টেজ ফ্ল্যাকসেশন হয় না। সংসদে ঢুকার সময় আমার হাতে প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রয়ে গেছে। ওনার (হারুনুর রশীদ) যদি বিদ্যুতের সমস্যা হয় আমাকে বলতে পারেন। ওনার বাসায় (হারুনের) ‍যদি বিদ্যুতের ভোল্টেজের সমস্যা হয় নিশ্চয় ওনার বাসার নিজস্ব কোনো সমস্যা হচ্ছে, যার কারণে ভোল্টেজ ফ্ল্যাকসেশন হচ্ছে, ওনার বাসার সমস্যা সরকারের উপরে চাপায় দিতে চাচ্ছেন।'

জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ঘটনাটি সত্য ঢাকা শহরের আশেপাশে এবং ঢাকা শহরের মধ্যে গত ৫০ বছরের পুরনো পাইপ লাইনগুলো বিদ্যমান। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়েও এই লাইনগুলো যে পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন করা উচিত ছিল তা করা হয় নাই। বর্তমানে সরকার একটা বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যেটার মাধ্যমে ঢাকা শহরের সমস্ত গ্যাস লাইন উঠিয়ে নতুন পাইপ লাইন করা হবে। স্কাটার সিস্টেম বসানো হবে, অটোমেশন করা হচ্ছে যাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে যেন নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা যায় সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেটার টেন্ডারও দেওয়া হবে।'

বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের কোম্পানিগুলো কি কাজ করবে? এটা কি গ্যাস ড্রিলিং করবে নাকি ম্যানেজ করবে? বাপেক্স শুধু বিনিয়োগ করবে এ ধরণের কোনো পলিসি বিগত দিনে করা হয় নাই। বাপেক্স তিনটা কাজই করে সে ম্যানেজও করে বিদেশী কন্ট্রাকটরকে নিয়োগও করে, নিজে যখন ড্রিলিং করে তখন আমাদের গ্যাসের প্রাপ্তি ১০-১৫ টাকা। একটা ড্রিলিং যদি করি, এটার খরচ পড়ে ১৬ মিলিয়ন ২০ মিলিয়ন পর্যন্ত।'

তিনি আরো বলেন, '৪-৫ বছর আগে পূর্বাচলে গ্যাস পাওয়া গেছে। আমরা দেখলাম এই গ্যাস উত্তোলনে যে পরিমাণ খরচ হবে তাতে ১০ বছরের যে গ্যাস বিক্রি করব তা দিয়ে জীবনেও খরচ উঠবে না। যে কারণে বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া যদি ১০টি ড্রিলিং করি সেটাতে দেখা গেছে ২টিতে গ্যাস পাওয়া গেছে, বাকীগুলোতে পেলামনা।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সর্বপ্রথম বাপেক্সে ড্রিলিং মেশিন আনা হয়। আমাদের নতুন ড্রিলিং, মেশিন পুরনো ড্রিলিং মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। বড় সমস্যা ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশে নাই। বিজ্ঞাপন দিয়ে দেখেছি এ ধরণের ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর সময়ে যে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার রাশিয়াতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছিলেন তাদের দিয়েই চলছে বাপেক্স।'

তিনি বলেন, 'আমাদের গ্যাস ফিল্ড বিদেশের গ্যাস ফিল্ডের মত অত বড় গ্যাস ফিল্ড না। আমাদের গ্যাস ফিল্ডগুলো পকেট গ্যাস ফিল্ড।'

বিএনপি দলীয় অপর সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের অন্য এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, '২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন গ্যাসের প্রাপ্তি ছিল অনসর ৯০০ এমএমসিএফ। পরবর্তীতে হাজার এমএমসিএফ। ৯০০ থেকে চাহিদা বাড়া শুরু করে। এখন গ্যাস উত্তোলন করছি প্রায় ২৭০০ এমএমসিএফ গ্যাস। ২৬টি ক্ষেত্র কুপ খনন করেছি। ৪৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কুপ খনন করা হয়েছে। গ্যাসের চাহিদা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের যে চাহিদা সেই অনুপাতে গ্যাস উৎপাদন প্রাকৃতিকভাবে পাচ্ছি না। করতেও পারছি না। গ্যাসটা পেতে হবে তারপর সঞ্চালন করতে হবে। তাই গ্যাসের চাহিদার গ্যাপ পূরণ করার জন্য এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। ওটাও প্রাকৃতিক গ্যাস ১৬০ ডিগ্রি মাইনাসে লিকুয়িড করে নিয়ে আসা হয় তারপর গ্যাসিফিকেশন করে গ্যাসের সাথে মিলানো হয়। এরপরও আরো চাহিদা বাড়ছে। দেশে ৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল যখন চালু হবে তখন চাহিদা দাঁড়াবে ৬ হাজার এমএমসিএফ গ্যাস। এখন আমদানিসহ দিতে পারছি ৩২০০ এমএমসিএফ গ্যাস। যদি আমদানি না করতাম তাহলে শিল্প বিল্পব হত না।'

বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধের কারণ ব্যাখা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাসাবাড়িতে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করি সেই পরিমাণ গ্যাস যদি শিল্পে ব্যবহার করি তাহলে ২০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়। তাহলে অগ্রাধিকারটা কোথায়? বাসাবাড়ির গ্যাসের অল্টারনেটিভ পেয়েছি, এলপিজি গ্যাস।'

   

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;

দ্বাদশ সংসদে প্রথম সারির আসনে বসছেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী জেষ্ঠতার ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনে সামনের সারিতে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা। এদিন বিকেল ৩টায় বসবে সংসদের প্রথম অধিবেশন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বসবেন। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এ ছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার ও পরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

;