প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির হারুনের ধন্যবাদ, চাইলেন স্বল্প সুদের ঋণ সুবিধা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
সংসদ অধিবেশন, ইনসেটে হারুনুর রশীদ, ছবি: সংগৃহীত

সংসদ অধিবেশন, ইনসেটে হারুনুর রশীদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানালেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। সেই সঙ্গে এমপিদের গাড়ি কেনার জন্য চাইলেন স্বল্প সুদের ব্যাংক ঋণ সুবিধা।

তিনি বলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি সংসদের গার্ডিয়ান, আমাদের অভিভাবক, সংসদের মর্যাদা এবং সংসদ সদস্যদের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমি সত্যি অত্যন্ত বিব্রত। ১/১১ এর সময় আমার নামে একটি মামলা হয়েছিল। সেই সময় জরুরি সরকার রাজনীতিবিদদের নামে বহু মামলা দিয়ে আটক করেছিল। আমার নামে সে ধরনের কোনো দুর্নীতির মামলা না থাকায় শুল্কমুক্ত গাড়ির ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিত ছিল। এখানে সংসদ নেতা উপস্থিত আছেন। আমি ওনার প্রতি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। সারাদেশ ব্যাপী যে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন, দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। ঠিক ওই রকম একটা মুহূর্তেই আমার নামে হঠাৎ করে আদালত থেকে সাজা হলো। এটা এত ব্যাপকভাবে প্রচারিত হল সারাদেশের মানুষের মধ্যে যে পার্সেপশন তৈরি হল, বিএনপির এমপি বলেই আজ হারুনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি উচ্চ আদালতে আপিল করার সঙ্গে সঙ্গে অতি অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পাই এবং সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ বিভাগ থেকেও আমার জামিন মুঞ্জর রাখা হয়েছে।

এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা এমপিদের দেওয়া হচ্ছে। ৫ম সংসদে ৩০১ গাড়ি আমদানি হয়েছে, ৭ম সংসদে ১৭৬টি, ৮ম সংসদে ৩১১টি এবং নবম সংসদে ৩১৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এমপিদের গাড়ি.. আমরা টাকা দিয়েই গাড়িটা আমদানি করি। আসলে ১৯৯৬ সালে যখন প্রথম এমপি হই, তার আগে গাড়ি ব্যবহারকারী ছিলাম না। আমার কোনো ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল না। কিন্তু এমপিদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করার জন্য সব এমপিদের এ সুযোগ দিয়েছেন। এটি নিয়ে পত্রপত্রিকায় ঢালাওভাবে লেখা হয়। আসলে ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত বিশ্বে এক কোটি টাকা, দেড় কোটি টাকা দিয়ে নগদ টাকায় গাড়ি কেনা হয় না। তারা ব্যাংকের সুবিধা পেয়ে ডাউন্ড পেমেন্ট দিয়ে গাড়ি কেনে।

কারাগারে থাকা অবস্থায় আমি দেখলাম, সচিবদের গাড়ি কেনার জন্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও খবর দেখলাম, সচিবরা গাড়ি অপব্যবহার করছেন। সংসদ নেতাকে অনুরোধ করব, সংসদ সদস্যরা (এমপি) তো রিকশায় করে গণভবনে যাবেন না, এমপিরা তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিকশায় করে যাবেন না, সচিবালয়ে তো রিকশায় যাবেন না। সংসদ নেতাকে বলব, গাড়ির যে সুযোগ দিয়েছেন, অনুরোধ করব, এমপিদের গাড়ি কিনতে স্বল্প সুদ সহায়তা দেন। তাহলে পাঁচ বছর গাড়িটা ব্যবহার করার পর বিক্রি করলে মূলধনটা ফিরে পাওয়া যাবে, যোগ করেন হারুন।

তিনি বলেন, যখন রায়টি হল, আমার এলাকায় কিছু ব্যক্তি আনন্দ উৎসব করলেন, মিষ্টি বিতরণ করলেন। রাতে পিকনিক করলেন। কিন্তু সারা দেশের মানুষ আমার জন্য দোয়া করল। জেল থেকে বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতৃবৃন্দ সহনুভূতি প্রকাশ করেছেন। যখন আমার নামে সাজা হয়েছে, সাথে সাথেই বলাবলি হল যে হারুন বিএনপির এমপি, তাই সাজা হয়েছে। আবার যখন জামিনে মুক্তি পেলাম, তখন দেখা গেল আবার একটা শ্রেণির লোক টিভি টক শোতে বলছেন, হারুনকে প্রধানমন্ত্রী খুব ভালোবাসেন, দেখ ১০ দিনের মধ্যে জামিন দিয়ে দিলেন। অর্থাৎ আমি এদিকেও কড়াতে কাটছি, ওদিকেও কড়াতে কাটছি।

গাড়ি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমার কাছে গাড়ি আমদানির পরিপত্র আছে। আমি যদি সত্যিকার অর্থে হস্তান্তর করে থাকি, তাহলে নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে, এখানে জরিমানা বা জেলের সুযোগ নেই। আশা করি, উচ্চ আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আসবেন। এমপিদের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এমপিরা যেন গাড়ি কিনতে পারেন, গাড়িটা ব্যবহার করতে পারেন, সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন। এটির যেন অপব্যবহার না হয়। সত্যিকার অর্থে আমাকে চার মাস আগে আপনি (স্পিকার) পারমিশন দিয়েছেন, গাড়ি কেনার। কিন্তু আমার এক কোটি টাকা নাই। আমি অবৈধভাবে টাকা নিয়ে কিনতে পারি, কিন্তু আমি সেই জায়গায় যাব না। সহযোগিতা চাই।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;