গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব সংসদে গৃহীত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
সংসদ অধিবেশনের ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশনের ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অস্তিত্বের সংকট, উপর্যুপরি দুর্যোগের ভয়াবহ আঘাত, জীব-বৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি এবং সম্পদের অমিতাচারী ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে আনীত ‘গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা’র সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধি অনুসারে সরকারি দলের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এ সাধারণ প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জলবায়ু নিয়ে বাংলাদেশের আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশের সংসদ যারা গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো।

প্রস্তাবে বলা হয় ‘জরুরি ভিত্তিতে দ্ব্যর্থহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং উচ্চতর লক্ষ্য সামনে রেখে এখনই সক্রিয় হতে হবে বৈশ্বিক গোষ্ঠীকে; এতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো এমিশনসে পৌঁছানো, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা এবং দ্রুততম সময়ে স্বল্প কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর নিশ্চিত করা। এটি প্রতিষ্ঠিত যে চলমান সংকটে সর্বনিম্ন মাত্রার অবদান রাখার সত্ত্বেও সর্বোচ্চ ক্ষতি এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশ ও ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র/ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ হয়নি/ গ্রহজনতি ন্যায় বিচার এবং ক্লাইমেট ইক্যুইটির দাবি, ঝুঁকির মধ্যে থেকে এই দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে, যাতে তারা তাদের কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে। এসব বহুমাত্রিক সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের সকল পার্লামেন্ট ও সরকার, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক দ্রুত কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হউক এবং সকল অংশীজনের সমন্বয়ে অভিন্নরূপে আমাদের বাসযোগ্য একমাত্র গ্রহটির সুরক্ষা ও হেফাজতের লক্ষে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হউক।’

আনীত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সংকটের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও এর শিকার হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের ফলে আমাদের মতো দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন আজ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই ক্ষতির শিকার হতে যাওয়া সব দেশকে একজোট হয়ে সংকট সৃষ্টিকারী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। সারাবিশ্বের জন্য গৃহীত প্রস্তাবটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

উত্থাপিত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সরকারি দলের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, কাজী নাবিল আহমেদ, নজরুল ইসলাম বাবু, ওয়াশিকা আয়শা খান, জাসদের শিরীন আখতার, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ।

সাবের হোসেন চৌধুরীর প্রস্তাবটি ছিল- ‘সংসদের অভিমত এই যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অস্তিত্বের সংকট, উপর্যুপরি দুর্যোগের ভয়াবহ আঘাত এবং চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার বৃদ্ধি, জীব-বৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা, ক্রমবর্ধমান পানি সংকট, মহাসাগরগুলোর ওপর অভাবনীয় চাপ এবং সম্পদের অমিতাচারী ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হউক।’

প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মানুষের বসবাস উপযোগী সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ পৃথিবী আজ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকির কারণে বিপন্নপ্রায়। আমাদের প্রিয় এ গ্রহটি মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ জটিলতায় নিপতিত। অতিব্যবহার ও অপব্যবহারে সমুদ্রসম্পদ শেষ হয়ে আসছে। সামনের সময়ে সারা বিশ্বের প্রায় ২৩টি উন্নত দেশের পার্লামেন্ট তাদের দেশে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কিন্তু যেসব কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সংকটের সৃষ্টি, বাংলাদেশ তার জন্য দায়ী না হলেও এর শিকার হতে চলেছে। তাই প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সারাবিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

তোয়ায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্ব পরিসরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ শিল্পায়নের পরিবর্তন। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ৭০ কোটি মানুষ নিচু এলাকায় বসবাস করছে, ভোলাসহ বাংলাদেশের অনেক মানুষ এর মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আমরা এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি, যেটি শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ। গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আমরা ৬ষ্ঠ। ভবিষ্যতে আমাদের ১৯টি উপকূলীয় জেলা তলিয়ে যাবে। আগে প্রায় শত বছর পরে বড় ঝড় হতো। আর এখন দেখেন আইলাসহ কত ঝড় হচ্ছে। গত ১০ তারিখ আমাদের দশ নম্বর সিগন্যাল দিতে হয়েছিল। এসময় তিনি প্রস্তাবের সমর্থন জানিয়ে তা গ্রহণের আহ্বান জানান।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, উন্নত বিশ্বের ২০ ভাগ লোক নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কার্বণ নি:সরণ করে। আর ৮০ ভাগ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা মানবতাবিরোধী কাজ। তাই জাতিসংঘকে আহ্বান জানাই ক্ষতিগ্রস্ত দেশকে আহ্বান জানাই আমরা যেমন প্রস্তাব পাস করে অবহিত করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পেনে যাবেন সেখানে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে আমাদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বিষয়টি তুলে ধরবেন। আপনিও (স্পিকার) বিভিন্ন ফোরামে আমাদের প্রস্তাবের বিষয় তুলে ধরবেন। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আমাদের সাথে তামাশা করেছে এসব বিষয় তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, আমাদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত আসছে। ইউনেস্কোর তথ্য মতে ১ কোটি ৯০ লাখ শিশু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে উপকূলীয় এলাকার ১০টি জেলা বিলীন হয়ে যাবে।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশও ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বিশ্বের ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ওঠা নামা করে। এর কারণে ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে প্রস্তাব করা হয়েছে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সমর্থন করছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্যারিস সম্মেলনে গৃহীত প্রতিশ্রুতিগুলো প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ যে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং সংকট মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেগুলোও প্রস্তাবে থাকলে ভাল হতো।

নসরুল হামিদ বলেন, রামপালে যে কাজ হচ্ছে তার ফলে প্রতিদিন কি পরিমাণ প্রভাব পড়ছে সেটা আমরা প্রতিদিন পরীক্ষা করে দেখছি। আমরা দূষণ সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য মাস্টার প্লান করেছি। বর্তমানে ইটভাটা থেকে যে পরিমাণ কার্বণ নি:সরণ হচ্ছে তা রামপালের চেয়ে অনেক বেশি।

সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, আমরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বরফ গলে যাচ্ছে। বনভূমিগুলো পুড়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নোনা পানি ঢুকে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করছে। তাই যেসব রাষ্ট্র আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তারা সবাই মিলে ঐক্যজোট করে কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি, তবে এটি ফলপ্রসু হবে।

জাসদের শিরীন আখতার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের আজ আকুতি- আগামী পৃথিবীতে আমাদের নিঃশ্বাসের ব্যবস্থা করে দাও। একদিকে হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে, বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবন বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে যাচ্ছে। এই সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে উপকূলে ব্যাপক বনায়ন করতে হবে, নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে।

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আমরা মানুষরাই দায়ী। আমাদের ১৭-১৮ কোটি মানুষের দেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটাই বড় কথা। ঢাকা মহানগরীতে দুই কোটি মানুষ বসবাস করছে, কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা কী পদক্ষেপ নিয়েছি? উন্নত দেশগুলো কয়লা বর্জন করলেও আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছি কেন?

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এ জন্য বাংলাদেশ মোটেও দায়ী নয়। প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশ সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না। সবাইকে একজোট হয়ে সংকট সৃষ্টিকারী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারাবিশ্বে অক্সিজেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের ফলে আমাদের মতো দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন আজ হুমকির মুখে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না হলে সারাবিশ্বই হবে বসবাসের অনুপযোগী।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;