ষড়যন্ত্র ভেদ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেদ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সময় ও গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতেই হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি। আমি জানি দেশের কিছু লোকের এটা পছন্দ হয় না। একটি চক্র আছে যারা নানাভাবে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেশের বিরুদ্ধে একটা বদনাম করতে পারলেই বেশি খুশি হয়।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বন্ধ করার জন্য যারা বিদেশে তদ্বির করে বিশ্বব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দেয়, তারা দেশের কত বড় শত্রু সেটা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। এরা কখনো জনগণের স্বার্থ দেখে না, নিজের স্বার্থ দেখে। কিন্তু সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ভেদ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকা নিয়েই বিশ্বে মাথা উচুঁ করে চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, দেশের কোন মানুষের ঘর অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাব। ৯২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২৩৪টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আগামী এক বছরের মধ্যে শতভাগ মানুষের ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারব।

সংসদ নেতা বলেন, গ্রামের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানুষ দেশের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। গ্রামের মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর শিক্ষিত জাতিই পারে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়তে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা শিক্ষাখাতে বিনামূল্যে বই বিতরণসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। তার সুফল জাতি পাচ্ছে। ২১ ভাগ দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে পেরেছি, আরও কমাব। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। জনগণের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান এই মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজ থেকে অনিয়ম দূর করার জন্য সন্ত্রাস-দুর্নীতি-মাদক বিরোধী অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। মাদক-সন্ত্রাস নামক দুষ্টচক্র থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে, তার কারণ সামরিক স্বৈরাচাররা অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করতে দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিল, দুর্নীতির সুযোগ করে দিতে একটা এলিট শ্রেণি তৈরি করেছিল। দেশে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা ছিল না। তখন দেশের মানুষ থেকেছে অবহেলিত, বঞ্চিত। যার কুফলটা আমাদের দেশ ও সমাজ ভোগ করে। অতীত সরকারের সময় (বিএনপি) পুরস্কার না পেয়ে বারবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তিরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। তার পরেও দুর্নীতির বিষাক্ত জিনিস সবার মাঝে, প্রতি স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছি, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের উন্নয়নের কর্মসূচি যথাযথভাবে কার্যকর হয় সেই ব্যবস্থা করে যাব।

ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। কুয়াশার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল দুর্ঘটনায় কিছু মানুষ মারা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আমরা আছি। উল্লাপাড়ায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু মানুষ আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার পেছনে কোন চক্রান্ত বা দুরভিসন্ধি আছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কারণ দেশে একটা ঘটনা ঘটার পর পরই আরো ঘটনা ঘটে। এর পেছনেও কিছু আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করে দিচ্ছি। রেলে জনবল নিতে হবে, প্রশিক্ষণও দিতে হবে। তবে একটা দুটো ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে যদি ট্রেন বন্ধ করতে হয়, তবে গাড়ি দুর্ঘটনার পর কি গাড়িও বন্ধ করে দিতে হবে? কোথায় কখন মেট্টোরেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা তৈরি করা বন্ধ করে দেব? প্লেনও ক্র্যাশ হয়, আবার হারিয়েও যায়। তবে কি প্লেনও বন্ধ হয়ে যাবে? কেউ তো প্লেনে চলাচল বন্ধ করেনি। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। সময় ও গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে অবশ্যই চলতে হবে।

পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, বিশ্বের বহু দেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও তিন-চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়া নির্মাণ করছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সকল বর্জ্য রাশিয়াই নিয়ে যাবে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে আসছি। এক্সপার্ট আমরা তৈরি করছি। রূপপুরের পর দক্ষিণে একটি দ্বীপ খুঁজছি, সেখানেও আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করব। আর রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, এটা সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন। এর চিমনি এতো ফুট উঁচুতে, কোন বাতাস সুন্দরবনে যাবে না। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই সিমেন্ট ব্যবহারে লাগে। লাইন লেগেছে এই ছাইগুলো নিতে। এতে কোনভাবেই পরিবেশ নষ্ট হবে না, বরং পাঁচ লাখ গাছ লাগানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যে কোন ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুয়েটে আন্দোলনের আগেই আইজিপিকে ফোন করে নির্দেশ দেই, ফুটেজগুলো সংগ্রহ ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে। কিন্তু ছাত্ররা ফুটেজ নিতে বাধা দেওয়া হলো। কেন বাধা দেবে? জড়িতরা কি বাধা দিচ্ছে, মনে প্রশ্ন জেগেছে। কোন দল করে আমরা দেখতে চাই না, অপরাধী অপরাধীই। নুসরাত হত্যাকাণ্ডেও দল দেখিনি, কাউকে ছাড় দেইনি। এটা আমার নীতির ব্যাপার। সমাজকে দুষ্টচক্র থেকে রক্ষা করতে হবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একজন ভিসি নিয়োগ দিলেই তার বিরদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। শিক্ষকরা তাদের স্বার্থের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করবে কেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা বন্ধ করে ছাত্রদের লেখাপড়া নষ্ট করা হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে আমরা সেসনজট বন্ধ করেছি। কিন্তু চক্রান্ত করে সেটা আবার সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে দিতে পারি না, আমরা দেব না। আইনেই রয়েছে, কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তা প্রমাণ হবে, প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদেরও শাস্তির বিধান আছে। এ ক্ষেত্রেও আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;