মিথ্যা দিয়ে সত্যকে মুছে ফেলা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মিথ্যা দিয়ে সত্যকে মুছে ফেলা যায় না। সেটা আজ প্রমাণিত সত্য, সত্য বলেই জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে, মুক্তির সংগ্রামে, বিজয়ের ইতিহাসে জাতির পিতার যে অবদান তা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে সে ইতিহাস উদ্ভাসিত হয়েছে। আজকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ, জাতিসংঘভুক্ত সকল দেশে উদযাপন করছে। এর থেকে বড় সত্য কি আছে? কাজেই কে মানল, কে মানল না তার জন্য বাঙালি জাতি বসে থাকেনি, থাকবে না। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন ৭ কোটি বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। এখন ৭ কোটি থেকে ১৬ কোটি হয়েছে কিন্তু তাদেরকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই, দাবায়ে রাখতে পারবেও না। বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, ১৯৭৫ এর পর থেকে ২১টা বছর জাতির পিতার নাম নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণে জয়বাংলা স্লোগান এবং শেখ মুজিবের নাম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাংলার মাটিতে। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে বা বাধা দিয়ে রাখা যায় না, মুছে ফেলা যায় না সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। প্রমাণিত সত্য বলেই ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ হচ্ছে আড়াই হাজার বছরের যত নেতৃত্বের ভাষণ তার দেশকে তার দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে দেশের মাঝে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যেসকল দেশে দূতাবাস আছে, প্রত্যেক দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকী অথবা মুজিব বর্ষ পালন করা হবে। আমাদের দূতাবাসগুলো উদ্যোগ নিচ্ছে। মুজিব বর্ষে অনেক দেশের সরকার প্রধান রাষ্ট্র প্রধান আসবেন। আমরা ভাগে ভাগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেব। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেও অনেককে দাওয়াত দেব সেখানে এসে বক্তব্য দিয়ে যাবেন।
সংসদ নেতা বলেন, যেখানে আলো সেখানেই অন্ধকার। একটা সময় ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। কিন্ত সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। জাতির পিতার যে আদর্শ আমরা ধারণ করেছি, যে আদর্শ যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই চেতনা বা আদর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। আজকে বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, কে সন্মান দেবে কে সন্মান দেবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে যারা হত্যা করেছিল, সেই খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে তাদেরকে যারা পুরস্কৃত করেছে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার শুরু হয়েছিল। বিচাররের পথ বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ দিয়েছে বা ৭ খুনের আসামিদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।