একদিনের বেশি ফাইল আটকে রাখলে বিভাগীয় ব্যবস্থা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রথম কর্মসূচি ছিল জবাবদিহিতা, দুর্নীতিকে নির্মূল করা, অনিয়মকে যেকোনো মূল্যে বন্ধ করা। সে লক্ষ্য নিয়েই অনিয়ম বন্ধের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি লাঘবে কোনো কর্মকর্তার কাছে এক দিনের বেশি ফাইল আটকে থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। যার ফলে কাজে গতি এসেছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে করছিলেন।

পূর্তমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রায় ৯২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছি।  যে সকল ঠিকাদার বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করত তাদের অনেককে আমরা ব্ল্যাক লিস্টেড করেছি। অনেক ঠিকাদারের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া বিল আমরা আদায় করেছি। প্রায় ১০০ একর সম্পত্তি বেহাত হয়েছিল। সেই সম্পত্তি উদ্ধার করেছি। এর ভেতর অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে সরকারি সম্পত্তি বেহাতের হাত থেকে সেই সম্পত্তি আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় শুধু নিজ মন্ত্রণালয় নয় ৪৬ মন্ত্রণালয় এবং দফতর সংস্থার কাজ করে থাকে। ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ তলা ভবন মাত্র ১৩ মাসের ভেতরে উন্নত মানসম্মত ভাবে নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে গণপূর্ত বিভাগ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের গণপূর্ত বিভাগ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে সেবার জন্য মানুষ আসত। সেখানে একটা অভিযোগ ছিল হয়রানির। একটি নকশা অনুমোদনের জন্য ১৬টি স্তরে যেত হত। আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম এটার কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা ১২টি স্তরকে বাদ দিয়ে মাত্র ৪টি স্তর রেখেছি। সেই স্তরে যাতে সেবাপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করেছি। বাসায় বসে ইমারত নির্মাণের নকশা অনুমোদনের আবেদন করা যায়, মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে আসবে আপনার নকশা অনুমোদিত হয়েছে। ভূমির ছাড়পত্র আমমোক্তার নামা গ্রহণ করার অন্যান্য প্রক্রিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভুগতে হত। এবং সময় ক্ষেপণ করতে হত। আমরা সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। এই সময়ের ভেতরে এবং ডিজিটাল পদ্ধতি করে দিয়েছি যে আবেদন করার পর দিন জানতে পারবেন কোন পর্যায়ে কি অবস্থায় আছে। যে কর্মকর্তার কাছে একদিনের বেশি ফাইল পড়ে থাকবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়ার প্রেক্ষিতে এখন গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশ আজ উন্নয়নশীল না উন্নত দেশ হওয়া কথা ছিল। কিন্তু সেই জায়গায় যেতে পারেনি একটি কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রা পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার মাস্টার মাইন ছিলেন, যিনি রাষ্ট্রের কর্মচারী ছিলেন।

১৯৬৯ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালিন বাঙালি জাতির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার তথ্য পান। এবং তিনি ডেপুটি চিফ অব মিশন সিডনি সোবারকে এই তথ্য জানান। এবং সেটা মার্কিন কনসুলেট থেকে ২৯ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দফতরকে জানানো হয়। ১৯৭২ সালে সরকারের অগোচরে কর্নেল ফারুক মার্কিন দূতাবাসে যান যেটা তাদের ডি ক্লাসিফাইড ডকুমেন্টে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। একই বছর ২১ জুলাই কর্নেল রশিদ সরকারের অগোচরে মার্কিন হাই কমিশনে গিয়ে অস্ত্র কেনার কথা বলেন এবং সেখানে বলেন ব্রিগেডিয়ার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটা বড় টিম করা হয়েছে, সেই টিম আমাদেরকে পাঠিয়েছে, অস্ত্র দিতে হবে। এরপর পরবর্তী ১৯৭৪ সালের ১৩ মে কর্নেল ফারুকরা মার্কিন হাই কমিশনে গিয়ে সাহায্য চান যে শেখ মুজিব সরকারকে উচ্ছেদ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করেন। এই ধারাবাহিক ঘটনা প্রবাহ যারা সংগঠিত করেছিল তারা একাধিকবার জিয়াউর রহমানের নাম রেফার করেছিল।

তিনি বলেন, সেখানে লেখা আছে আমার জীবন বিপন্ন করে হলেও সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করব এই শপথ গ্রহণ করা জিয়াউর রহমান শপথ ভঙ্গ করে ২০ মার্চ কর্নেল ফারুক এবং রশিদকে বলেছিলেন গো অ্যাহেড। সেখানেই তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেন তারপর ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আজ দেশে অন্য বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা যে সম্প্রসারণ হয়েছে তা বিস্ময়কর। এক সময় বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দারিদ্রের মডেল হিসেবে বলা হত। সেই দেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত। একসময় বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা সরকার প্রধানকে বলা হত আকণ্ঠক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আজ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব পরিমন্ডলে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৎ পরিশ্রমী সাহসী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;