মজুদ গ্যাসে চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশে (২০২০ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত) উত্তোলনযোগ্য মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্র হতে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী জানান, এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে বিদ্যমান মজুদ দ্বারা আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত জনগণ ও শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য গ্রাহকদের সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানান।
নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কারে গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলার সীতাপাহাড় ভূগঠনে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চলমান রয়েছে। অনশোরের বিভিন্ন ব্লকে ২ডি সাইসমিক জরিপ করার জন্য ডিপিপি অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। শ্রীকাইল ইস্ট#১ অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া সমুদ্রাঞ্চলে তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪টি (এসএস-০৪, এসএস-০৯, এসএস-১১ ও ডিএস-১২) ব্লকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসকল ব্লকে সম্পাদিত দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক জরিপের ভিত্তিতে অগভীর সমুদ্রের ৩টি ব্লকে ২০১১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। খুব শিগগিরই এসএস-০৪ এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ মিটার অবৈধ বিতরণ লাইন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১ হাজার ৪৬০ মিটার, ঢাকা জেলায় ১৮ হাজার ৫০০ মিটার, গাজীপুরে ১ হাজার ৪৫০ মিটার, নারায়ণগঞ্জে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ মিটার এবং মুন্সিগঞ্জে ৩১ হাজার মিটার।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিচ্ছিন্নকৃত অবৈধ বিতরণ পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার, বিচ্ছিন্নকৃত গ্যাস বার্ণারের সংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০টি, এজন্য বিভিন্ন থানায় মোট ১০৪টি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস বিতরণ বিচ্ছিন্নে ২০১৬-২০১৭ হতে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।