স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেন বিএনপি এমপি হারুন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেন বিএনপি এমপি হারুন

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেন বিএনপি এমপি হারুন

করোনা মোকাবিলা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা তুলে ধরে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিকলঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটা পরিবর্তন করা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। সরিয়ে দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যক্তিদের বসান। কমিটমেন্ট লোকদের বসান।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ এ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তার ওই শব্দগুলো সংসদ কার্যক্রম থেকে এক্সপান্স করা হয়। শেষ দিকে কথা বলার সুযোগ চাইলে সময় বৃদ্ধি না করলে তিনি ওয়াকআউট করেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞরা দল বলেছে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিতে তারা হতাশ। তাই এই যে সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট জাতীয় সংকট। এই সংকট উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলুন। খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এমন সময় করোনার আঘাত বাংলাদেশে এসেছে, যখন দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায়। রেমিটেন্স ছাড়া সমস্ত কিছু ছিল একেবারে নিম্নমুখী। ব্যাংক খাত শেয়ার বাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এমন নাজুক। এই খাতগুলোরই দরকার ছিল প্রণোদনার। তাই দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য করোনা মোকাবিলা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। আর সেই চ্যালেঞ্জর মাত্রা নির্ভর করছে বর্তমান পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে তার উপর।

হারুন বলেন, সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় খুবই দরকার, যেটি এখন বড়ই অভাব রয়েছে। সরকার কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করেছে এটি পর্যাপ্ত কি না? বাস্তবায়ন সক্ষমতা আছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সরকারের উদ্দেশে বলেন, উন্নয়নের রাজনৈতিক চিন্তভাবনা বাদ দিতে হবে। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও রাজনীতির চিন্তা করতে হবে। উন্নয়নের ব্যয় কমাতে হবে। প্রয়োজনে মন্ত্রী পরিষদের আকার ছোট করতে হবে। ব্যাংক কমিয়ে মানুষ বাঁচানোর জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

পুলিশ বাহিনীর সমালোচনা করে বলেন, পুলিশের আইজিপি নতুন নতুন অসিহত দিচ্ছেন। যারা দেশের মানুষের আমানত নষ্ট করেছেন, হক নষ্ট করেছেন, তার জবাবদিহিতা আপনাকে করতে হবে। গত নির্বাচনের সময় পুলিশকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চতর পদ মর্যাদার ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে অংশ গ্রহণ করা হয়েছে। এই পুলিশ দিয়ে কোন ভাবেই সৎ প্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। পুলিশ সরকার ও আওয়ামী লীগের গোলাম এবং দাস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

হারুনুর রশীদ অধিবেশনে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলে বক্তব্য শুরু করেন। এনিয়ে ডেপুটি স্পিকার প্রশ্ন তুলে বলেন, হঠাৎ করে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়লেন কেন? এটা দিয়ে কোন বক্তব্যের শুরুর রেওয়াজ আমি আমার ৭ মেয়াদে কোন এমপির মধ্যে দেখিনি। এর উত্তরে হারুন বলেন, আমি এর ব্যাখা পরে দেব।

তিনি বলেন, করোনা উত্তর ভবিষ্যৎ অর্থনীতি পথক্রমের জন্য যে ধরণের বাজেট প্রণয়ন দরকার ছিল সেটি সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হযেছে। বাজেট সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার অনুরোধ করেন।