ইন্না লিল্লাহি পড়েই সংসদে প্রবেশ করি: হারুন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত ২৩ জুন সংসদে বাজেট বক্তব্যের শুরুতে ইন্না ইল্লাহি পড়ে শুরু করায় তখন স্পিকারের চেয়ারে থাকা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে বলেছিলেন, আমি ৭ বারের এমপি আমার জীবনে বক্তব্যের শুরুতে ইন্না লিল্লাহি পড়তে শুনিনি। আপনি এর ব্যাখ্যা দেবেন। সেদিন শেষ দিকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথা তোলায় তার মাইক বন্ধ করা হয়। সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমি সংসদে প্রবেশ করার সময় ইন্না লিল্লাহি পড়েই সংসদে প্রবেশ করি। আর আমিও আমার সংসদীয় জীবনে দেখি নাই স্পিকারের চেয়ার থেকে কেউ এরকম উক্তি করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

হারুনুর রশীদ সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সপ্তম সংসদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেদিনও ওনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আমিও সেদিন সংসদ সদস্য ছিলাম। সেদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল ১১৬ সদস্য নিয়ে সেদিন বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। পরবর্তী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর নবম সংসদেও দৃশ্যমান বিরোধী দল ছিল। সেখানে বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

এরপর দশম এবং ১১তম সংসদে বিরোধী দলের যে চরিত্র সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাই না। এসময় জাতীয় পার্টির এমপিরা বলেতে থাকেন বলেন, বলেন।

বিজ্ঞাপন

হারুনুর রশীদ কার্যপ্রণালী বিধির ২৮তম অধ্যায়ে সংসদ সদস্যরে পালনীয় কর্তব্য দায়িত্ব সম্পর্কে বিবৃতি তুলে ধরে বলেন, কার্যপ্রণালী বিধির ৩০৭ এবং ৩১৬ এর স্পিকারের দায়িত্ব কর্তব্য এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখা রয়েছে আপনার (স্পিকারের) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এখানে সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। গত ২৩ জুন বাজেট আলোচনায় বক্তব্য রাখার একটি পর্যায়ে শুরু করেছিলাম ইন্না লিল্লাহি বলে আমাকে প্রথমেই বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে আমার মাইক বন্ধ হয়ে গেল আমি বলেছিলাম ব্যাখ্যাটি পরে দেবো।

স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি অভিভাবক। সংসদে অতীতে যারা স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন হুমায়ন রশীদ চৌধুরী, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, জমির উদ্দিন সরকারসহ যারা ছিলেন। আমি এ ধরনের কোনো নজির দেখি নাই ওইখান (স্পিকারের চেয়ার) থেকে কোনো স্পিকার কখনো কোনোসদস্যকে বলেছেন। আমরা যখন কথা বলি স্পিকারের মাধ্যম দিয়েই বলি। আমি সেদিন বক্তব্যে সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। সেখানে ওই জায়গায় থেকে যে ধরনের উক্তি করেছেনে আমি জীবনেও শুনিনি। প্রসিডিংসেও খুঁজেও পাবেন না।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংকট। এই সংকটের জন্য বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথা বলাতেই ওনি ওখান থেকে কথা বললেন এটা বলা যাবে না। এটা বলতে পারবেন না।

এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্পিকার এই চেয়ারে বসে কি বলেছেন সেটার ব্যাপারে ওখান থেকে মন্তব্য করতে পারবেন না। স্পিকারের বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না।

এরপর হারুন বলেন, সেদিন আমি ইন্না লিল্লাহি বলে শুরু করেছিলাম। সুরা বাকারা বেশি বেশি করে তাফসির করার কথা বলেছিলাম। বিপদে পড়লেই ইন্না লিল্লাহি পড়ি আমরা তো বিপদে আছি। সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত। সংসদে প্রবেশ যখন করি ইন্না লিল্লাহি বলেই প্রবেশ করি।

অপব্যাখ্যা হচ্ছে। কপি পাঠিয়ে দিচ্ছি। ১৯৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ৯টি দুর্নীতি মামলা হয়েছিল একটি মামলায় দুই বছরের সাজা এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল।

পূর্ব পাকিস্তানে ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন ভোটের লড়াইয়ে। রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য রাজনীতির নেতৃবৃন্দের সাথেই বসতে হবে।