পাটের বিশ্ববাজার ধরে রাখতে নতুন ব্যবস্থা চালু করব
রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকল বন্ধ নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী একটা স্থবিরতা চলছে। আমাদের পাটকলের শ্রমিকদের গত এক বছর ধরে বেতন সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিতাম। এইভাবে তো একটা কারখানা চলতে পারে না। তাছাড়া এই শিল্পগুলো সব থেকে পুরনো। এই শিল্প দিয়ে লাভ করা সম্ভব না। সেজন্য আমি চাচ্ছি যে এটাকে নতুনভাবে তৈরি করা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের একটা উজ্জ্বল ভবিষৎ রয়েছে। পাট আমাদের অর্থকরী ফসল। পাট একদিকে কৃষিপণ্য অপরদিকে শিল্প এই দুটোই। আমরা জুট জিনম আবিষ্কার করেছি, জন্ম রহস্য আবিষ্কার করেছি। গবেষণা করে পাট থেকে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য আবিষ্কার করছে। সেগুলো আমাদের উৎপাদন করতে হবে। সেগুলো দেশের কাজে লাগবে আবার বিদেশেও রফতানি হবে। তাছাড়া পরিবেশ রক্ষার জন্য সিনথেটিকের ওপর থেকে সকলে মুক্ত চায় সেখানে পাট এর বিকল্প, সেখানে একটা বিশাল সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী রয়ে গেছে।
সংসদ নেতা বলেন, আমাদের এ শিল্পগুলোকে সময়পযোগী করতে হবে, আধুনিক করতে হবে, নতুন করতে হবে। সেজন্য আমরা পাট শ্রমিকদের মজুরি টাকা পাওনা যা ছিল সব মিলিয়ে আমরা একবারে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা তাদের জন্য দিয়ে দেবো। তবে সব টাকা তাদের একবারে দেব না। অর্ধেকটা সঞ্চয়পত্র করে দেব। সেখানে ১১ শতাংশের মতো মুনাফা পাবে। তাতে মাসে যে মজুরি পাবে তার চেয়ে বেশি পাবে। যা পাওনা ছিল সব শোধ করব। এটাকে নতুনভাবে করব। আর এখানে যারা আগ্রহী তাদের ট্রেনিং দিয়ে আধুনিক প্রযু্ক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করে তৈরি করব। কারণ পাটকল চালু হলে অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারাই আবার নতুন করে চাকরি পাবে। এই সময় তাদের বেতন দিয়ে দিচ্ছে। পাটের বিশ্ববাজার, পাটজাত পণ্যের বিশ্ব বাজারটা যেন ধরতে পারি, সেটা যেন ধরতে পারি সেজন্য এই ব্যবস্থা নিচ্ছি।