শেখ কামাল খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়েবিনারে আলোচকরা

ওয়েবিনারে আলোচকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন বলে মত প্রকাশ করেনে আলোচকরা।

বুধবার (৫ আগস্ট) রাতে শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তারুণ্যের জেগে ওঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

দলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই বিশেষ ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অনলাইন মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল এবং আবাহনীর প্রথম অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার এবং সিনিয়র ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়।

শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘উনি (শেখ কামাল) শেখ মুজিবুর সন্তান এমন কোন দাম্ভিকতা ছিল না। ছিলেন সাধারণ মানুষের মতই। জাতির একটি সংস্কৃতির যা যা উপাদান দরকার ছিল তার ভিত্তি কিন্তু শেখ কামাল গড়ে দিয়েছিলেন। আজ তা তরুণ প্রজন্মের কাছে লালিত হচ্ছে।’

নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ বলেন, ‘আমরা যখন একসাথে ছিলাম তখন আমাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল অন্য রকম। স্বাধীনতার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চা দেখার মত ছিল। শুধু রাজনীতিতেও না শেখ কামালের বিচরণ ছিল সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও।’

আলোকচিত্রী পাভেল রহমান বলেন, ‘১৯৭৪ সালে কামাল ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে, ৩২ নম্বরের বাড়িতে। আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলছিলাম নীচ তলায়, খেলাঘরের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুর গলায় লাল স্কার্ফ পড়িয়ে দিচ্ছিলেন। সেসময় বারান্দায় কামাল ভাইকে দেখলাম। আমি সালাম দিয়েই সামনে যেতেই আমাকে তিনি কেক হাতে দিলেন। দিয়ে বললেন, কেমন আছো?। আমি এতো চমকে উঠেছি! যে আমার সাথে উনার তখনো পরিচয় নেই, কিন্তু উনি এভাবে বললেন! তারপর তিনি বললেন- তুমি কোথায় কাজ করো? আমি বলতেই তিনি বললেন, তুমি কি আমাদের আবাহনীর ছবি তুলে দিবে? তখন তিনি আমাকে আবাহনী ক্লাব চিনিয়ে দিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমরা ক্লাব থেকে গণভবনে আসছি বঙ্গবন্ধুর কাছে। আমি একে একে অনেক ছবি তোলার পর হঠাৎ করেই কামাল ভাই আমাকে ডাক দিলেন- 'পাভেল, পাভেল! আমিও ভাবছিলাম কি জানি কি ছবি তুলবেন হয়তো। কাছে যেতেই উনি আমাকে পেছন থেকে একটু ধাক্কা দিয়েই বঙ্গবন্ধুর দিকে আগিয়ে দিলেন! আমি বুঝে উঠার আগেই এর মধ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে বললেন, আব্বা, আব্বা! ও হচ্ছে আমাদের আবাহনীর ফটোগ্রাফার। বলতেই আমি তো অবাক! আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবেন, আমার মধ্যে কি আছে পরিচয় করিয়ে দেবার! বঙ্গবন্ধু রিল্যাক্স করে বসছিলেন, যখন শুনেছেন আবাহনীর ফটোগ্রাফার তিনি একটু নড়েচড়ে বসলেন। এরপর কামাল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন- তোদের আবাহনীতে আবার ফটোগ্রাফার ও আছে?। কামাল ভাই বললেন, হ্যা আব্বা আছে, ওর নাম পাভেল। এরপর তো কামাল ভাইয়ের সাথে আরও অনেকবার দেখা হয়েছে, সবগুলোই স্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। কামাল ভাইয়ের যে দিকটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো উনার মনটা একদমই কিশোর, এতো কিশোর মন তার! এতো সবসময় উনার চঞ্চলতা উনার মাঝে, মনে হতো আমরাই যেন বুড়ো হয়ে যাচ্ছি!’

সাংবাদিক অঘোর মন্ডল একাত্তরের দিনগুলির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নামে যে দলটা হলো, সেই দলের ভেতর কেন যেন জুনিয়র-সিনিয়রের ভেতরে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো। সেই অন্তর্দন্দ্ব সুরাহা করার জন্য শেখ কামাল সেখান উপস্থিত, তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন- 'ঠিক আছে, আমরা সবাই এখানে এসেছি। আগেই দেশ স্বাধীন করতে হবে। দেশ স্বাধীনের পরে আমরা একটা দল করবো, আমরা একটা ক্লাব করবো, সেখানেই ফুটবলের নতুন কিছু করবো। এই যে নতুন কিছু করার চিন্তা। ২৬ বছর ১০ দিনের জীবন যার, তার জীবনের প্রতিটি বাঁকেই বোধহয়, বাক পরিবর্তনে নতুন কিছু সাক্ষ্য রেখে গেছেন, নতুন কিছু করার।’

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;