বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বিএনপির উদ্বেগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে যেভাবে হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

শনিবার (৮ আগস্ট) বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রোববার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বিএনপি।

লন্ডন থেকে সভার সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সভায় গৃহীত প্রস্তাব সমূহ হলো-

গত ৪ আগস্ট বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। এদেশের রাজনীতিতে এবং উন্নয়নে ক্ষেত্রে তার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আব্দুল মান্নানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

সাবেক ছাত্রনেতা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। তার এই অসময়ে চলে যাওয়ায় দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। শফিউল বারী বাবুর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরচার বিরোধী সংগ্রামে এর বর্তমান ফ্যাসিবাদী এক নায়কতন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে দল।

শফিউল বারীর মৃত্যুতে দল একজন নিবেদিত প্রাণ তরুণ নেতাকে হারালো। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দলের নেতা-কর্মী যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

সাম্প্রতিক কালে করোনাভাইরাসে যে সকল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইন্তেকাল করেছেন সকলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

সভায় কোভিড-১৯ করোনা মোকাবেলায় সরকার যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এটি যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছে তার পরেও সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতা বেড়ে চলেছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই বিষয়ে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সম্প্রতি কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়া এবং গত ৫ বছরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে যে ভাবে হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ বিষয়েও বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, হয়রানী বেড়েই চলেছে যা বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ এবং ভিন্ন মত দমনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অবৈধ সরকার ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক ভাবে টিকে থাকা এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

   

মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯:৪৫মিনিটে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

এদিন সকাল ১০টায় মেহেরপুরের মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে এক আলোচনা সভা করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল- আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক।

এতে আরও উপস্থিত থাকবেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিনস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

আগুনে ঘর পোড়া চার শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেনি কোনো কাপড়চোপড়ও। অদূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে পুড়ছে তাদের কাপড়, পুড়ছে সব। এরপর থেকে এক কাপড়েই ছিল এই তরুণীরা। সেই তরুণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ। নগরীর টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সামগ্রী ও নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ৪ শিক্ষার্থী সুবংকর দাশ, বাবলু দাশ, পূর্ণা দাশ ও অঙ্কিতা দাশকে এ শিক্ষা উপকরণ ও নতুন জামা তুলে দেন নূরুন নবী সাহেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব, পাথরঘাটার কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেবি দোভাস, নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আগুনে ওই এলাকার ৮৭টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

 

;

উপজেলা নির্বাচনেও যাচ্ছে না বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সভায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ই মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।

আওয়ামী লীগের আমলে কখনো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

আরও বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককে মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

বিএনপি বলছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত রয়েছে।

;

সরকারের উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলা এলাকায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ ১৩ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে- এ বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ফরিদপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ১৩ জনের প্রাণহানি খুবই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। দেশব্যাপী প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারাচ্ছে ও আহত হচ্ছে তাদের স্বজনদের মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাভিভূত। বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসীনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সারা দেশে প্রতিনিয়ত এ ধরনের দুর্ঘটনায় মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

;