পাবনা-৪ উপনির্বাচন: নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস
পাবনা-৪ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
রোববার (৩০ আগস্ট) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় বোর্ডের সভায় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কর্নেল অব. ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা, ৩ সেপ্টেম্বর বাছাই এবং ৮ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ।
গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা থাকলেও মহামারি করোনার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পাবনা-৪ আসনটি ১৯৯৬ সাল থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ডিলুর পরিবারের ৬ জন সদস্য। মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন ডিলুর স্ত্রী ও ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন নাহার শরীফ, বড় ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ, বড় মেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন, শিরিনের স্বামী ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর খালাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বশির আহম্মেদ এবং ভগ্নিপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান। ডিলুর পরিবারের ছয় স্বজনসহ মোট ২৮ জন এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।