রাজনীতিতে ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব আমার, সফলতার ভাগ সবার



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য টিম গঠন করে সাংগঠনিক সফর করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলের প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনার আলোকে সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজেদের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত। কিভাবে হবে নেতা নির্বাচন। এবারও কি সুবিধাভোগী দুধের মাছি দলে জায়গা পাবে? বার্তা২৪.কম.কম এর এমন সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তার বাসভবনে একান্ত আলাপ চারিতায় উঠে আসে নানান কথা। তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতিতে চলার পথটা চ্যালেঞ্জের: ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব আমার, সফলতার ভাগ সবার।’

বার্তা২৪.কম: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক সফর করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে আপনাদের ভাবনা কি?

এসএম কামাল হোসেন: আমাদের অনেকগুলো জেলা সম্মেলন হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে। পরবর্তীতে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি হওয়ার পর সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু করি। উপজেলা সম্মেলনের তারিখও নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে সেভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম আমরা করিনি, কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আমাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সেই ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় আমরা এখন একটি টিম গঠন করে ইতিমধ্যে তৃণমূল থেকে সম্মেলন করার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো শুরু করার প্রক্রিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন

আপনারা জানেন ৫টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং মানুষ যাতে নৌকার পক্ষে ভোট দেয় সেই কারণে আমাদের সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য আমরা নির্বাচনী এলাকায় সবাই কাজ করছি। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি সভা করে, বর্ধিত সভা করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে জেলাগুলোর সম্মেলন হয়েছে সেই জেলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই জেলার মধ্যে অনেক জেলার কমিটিই কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিয়েছে। অর্থাৎ সাংগঠনিক কার্যক্রম আমাদের শুরু হয়ে গেছে।

বার্তা২৪.কম: কেন্দ্রে যে সকল কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিছু অভিযোগ শোনা যাচ্ছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা এমপিরা তাদের কাছের পছন্দের লোককে নেতা বানানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে, আপনাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগও করছেন? এব্যাপারে আপনারা কি ভাবছেন?

এস এম কামাল হোসেন: না, হ্যাঁ, কিছু পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে। সেই জন্য আমাদের কাছে কমিটি আসলে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার চেষ্টা করছি। কারো সাথে কারো ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে, সেই কারণে কমিটিতে থাকবে না এমন না। আমরা যেটাতে জোর দিয়েছি সেটা হচ্ছে- দুঃসময়ে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করেছে, যারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিল, যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিল, যাদের নামে কোনো অভিযোগ নেই যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা নাই, যাদের নামে মাদকের মামলা নাই, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নাই, মানে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন ধরনের লোক যেন দলীয় কোনো পর্যায়ে না থাকে, সাংগঠনিক কোনো পর্যায়ে না থাকে এব্যাপারে নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই ভাবেই খেয়াল রাখছি। আমরা আশাকরি যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তারা কোনো ভাবেই নেতা নির্বাচিত হবেন না।

বার্তা২৪.কম: দলে বিভিন্ন সময় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ে এর দায় কার? এবার নেতৃত্ব বাছাই করার ক্ষেত্রে ত্যাগীদের কথা বলছেন অতীতেও এমন নির্দেশনা ছিল তারপরেও এধরনের নেতা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আসে কিভাবে?

এস এম কামাল হোসেন: আমরা অনেকেই অতীত ইতিহাস জানি। জেলার প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি অনেক সময় আমাদের কারোর ওপর ভর করে দলে ঢুকে যায়। এগুলো আমরা খুব কড়াকড়িভাবে নজর রাখছি। যাতে এ ধরনের লোক দলে না ঢুকে যায়। হ্যাঁ একটা লোক সরাসরি আওয়ামী লীগ করে না কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। তার এলাকায় সুনাম আছে এই ধরনের লোককে দলের পদে আসতে বাধা দেব না। কিন্তু সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রে আমরা সিরিয়াস। এই ক্ষেত্রে অতীতে যারা ত্যাগী লোক, যাদের দলে গ্রহণযোগ্যতা আছে দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগ করেছে তাদেরকে নেতা নির্বাচিত করা হবে। বিভিন্ন পদে অনেক সময় হয়তো আমরা মনে করি যে একটা লোক জেলার কোনো পদে ছিল না কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক সামাজিকভাবে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। ওই লোকটা দলের কোনো পর্যায়ে কোনো পদে আসলে আমরা বাধা দেব না। আমরা তো যে লোকটার জনপ্রিয়তা আছে যে লোকটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে ওই লোকটাকেই তো দলে জায়গা করে দিতে হবে।

বার্তা২৪.কম: কেন্দ্রে যে সকল জেলার তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে যদি কারো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় দলে বিতর্কিত কেউ ঢুকে যায় সেক্ষেত্রে কি করবেন?

এসএম কামাল হোসেন: যদি ধরনের কোনো লোক ঢুকে যায় আমাদের কাছে অভিযোগ আসে অবশ্যই, এটা তো অনুমোদন দেবে কার্যনির্বাহী কমিটি, কমিটি জমা দিলেই তো পাস হবে না। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এটা অনুমোদন দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সেই অভিযোগগুলো তুলে ধরব। সেই ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটি মনে করলে তারা বাদ যাবে। জমা দেওয়া মনেই কমিটি ফাইনাল হবে তেমনটা না। যত সময় পর্যন্ত এটা পাস না হবে।  

বার্তা২৪.কম.কম: আপনি তো সাংগঠনিক নেতা হিসাবে উপ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন? এটা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ কি না?

এসএম কামাল হোসেন: আমি সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর, আমি যে বিভাগের দায়িত্বে সেই বিভাগের তিন আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দু’টির তারিখ ঘোষণা হয়েছে। একটি আসনে ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন। আমরা শুরুতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করেছি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে বৈঠক করেছি, দুটি পথসভা করেছি। আমরা মনে করি দল ঐক্যবদ্ধ, আমাদের প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং আমাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তা আছে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে মানুষের আস্থা আছে, আর যেহেতু আসনগুলো নৌকার ছিল আশাকরি নৌকাই আবার জয়ী হবে। আমি নিজে সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত থেকেই দলকে সুসংগঠিত করার জন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মী যাতে নির্বাচনের পক্ষে কাজ করে কোনো বিভেদ না থাকে সেই চেষ্টা করছি।

বার্তা২৪.কম: আপনার ওপর প্রথম উপনির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কি না?

এস এম কামাল হোসেন: রাজনীতিতে চলার পথই তো চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি পদক্ষেপেই আমাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আমরা মনে করি প্রতিটি জিনিসই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটা একটা যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ময়দানে ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব আমার আর সফলতার ভাগ সবার। যদি কোথাও কোনো নির্বাচনে কোনো রকম কিছু হয় তার দায়দায়িত্ব অধিকাংশ আমাকেই বহন করতে হবে। সেটা তো আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। সফলতা হলে আমরা মনে করি সফলতা দলের। সফলতা সকল নেতা-কর্মীদের। আমার বিশ্বাস যে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ, নেত্রী যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছি আশাকরি আমরা এখানে জয়লাভ করব। জয়লাভ করাটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।

বার্তা২৪.কম: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এসএম কামাল হোসেন: আপনার মাধ্যমে বার্তা২৪.কম.কম এর সকলকে ধন্যবাদ।                 

   

গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই বিএনপির: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিকে তারা অগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাত অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে। সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে। তবে যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে- জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন গুরুত্ব অপরিসীম। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয় সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশের জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি নেতারা তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

;

৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠানরত নবম 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে 'নভোটেল এথেন্স' হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।

এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাথে বৈঠকে জানিয়েছেন যে গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

;

হাতীবান্ধায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জামাত নেতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৪ জন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বৈধতা পাওয়া জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা।

বুধবার (১৭এপ্রিল) বিকালে জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার ১৫এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বুধবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত এর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিসার এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ৩ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাসেদ খান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মুজিবুল আলম সাদাত এর মনোনয়ন অবৈধ হওয়ায় এবং জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এখন ৩ পদে মোট ১৪ প্রার্থী থাকলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও শাহানা ফেরদৌসী সিমা।

;

ক্ষমতা দখলের পর আ.লীগ ইতিহাসও দখল করেছে: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ এখন ইতিহাসকেও দখল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা তাদের মনগড়া ইতিহাসকে বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিচার বিভাগকে হাত করে তাদের মনগড়া ইতিহাস ব্যাখ্যা করছে। রাজনীতিবিদরা ইতিহাসবিদ হলে তা আর ইতিহাস হয় না, হয় প্রপাগান্ডা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আমীর খসরু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বাদ দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরে আসেনি। ভোট চুরি প্রকল্প তাদের ক্ষমতার উৎস। নৌকা নিয়ে জনগণের সামনে যাওয়ার সাহস সরকারের আর নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ভোট বলে আর কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ভাঙার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, জেল সব কিছু করে অপদস্থ করা হয়েছে, তবুও ঐক্য ভাঙতে পারেনি।

;