স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী যারা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদ উত্তীর্ণ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৩টি জেলা পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৬১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিম্নে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হল: ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শামসুল হক, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদে মিছবাহুর রহমান ও মাদারীপুর জেলা পরিষদে মুনির চৌধুরী।

এছাড়া ৯টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা পরিষদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. এমদাদুল হক, যশোরের সদর উপজেলা নুরজাহান ইসলাম নীরা, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় রায়হান উদ্দিন শান্ত, খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় আ. লতিফ মোল্লা, সুনামগঞ্জে জামালগঞ্জ উপজেলায় মো. ইকবাল আল আজাদ, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় মোহাম্মদ আলী, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বি এইচ এম কবির আহমেদ, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় স্বজন কুমার তালুকদার।

যেসকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী দিল আওয়ামী লীগ:

রংপুর বিভাগের দিনাজপুর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ শাহ, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে মো. দেলওয়ার হোসেন, রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নে মো. একরামুল হক, চন্দনপাট ইউনিয়নে মো. আমিনুর রহমান, সদ্যপুস্কুরিনী ইউনিয়নে মো. মকছেদুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে মো. মজিবুল আলম।

রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নে মো. হারেজ উদ্দিন আকন্দ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরঅনুপনগর ইউনিয়নে মো. সেরাজুল ইসলাম, নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে মো. খাইরুল ইসলাম, নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে মো. মাসুদ রানা, সিরাজঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার পোরজানা ইউনিয়নে মো. আনোয়ার হোসেন, পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে মো. বেলাল হোসেন খান ম-তোষ ইউনিয়নে মো. আফছার আলী।

খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নে মোহা. শফিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নে মো. তরিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নে মো. মোরশেদ আলী, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নে শেখ রফিকুল ইসলাম।

বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার, তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নে নূর মোহাম্মদ, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নে আ. মালেক আকন্দ, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে মো. ফরহাদ হোসেন (মুরাদ), বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে মো. ফয়সাল ওয়াহিদ, উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে মো. খায়রুল বাশার লিটন

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার, সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নে তোফায়েল আহামেদ,গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম, নারায়নগঞ্জ জেলারে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নে মো. নূরুল ইসলাম, নরসিংদী জেলার, রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নে মো. সেলিম, ফরিদপুর জেলার, মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নে সুখেন মজুমদার, গোপালগঞ্জ জেলার, মকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নে বিভা মন্ডল, শরীয়তপুর জেলার, ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নে মো. দেলোয়ার হোসেন সরদার।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার, সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নে আলহাজ আব্দুল আজিজ সরকার, নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নে মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূইয়া, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নে জুবের আলম কবীর রূপক, ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নে মো. আবুল কালাম আজাদ, ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নে মো. মফিজ উদ্দিন মন্ডল, নেত্রকোনা জেলার, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নে মো. আব্দুল হালিম খান।

সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার গোপালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নে মাহমুদ আহমদ, ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে মো. কবির উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নে মো. আব্দুর রশীদ, মির্জাপুরে অপূর্ব চন্দ্র দেব, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা শাহজাহানপুর ইউনিয়নে বাবুল হোসেন খান।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে শেখ মো. হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নে মো. আ. করিম, চাঁদপুর জেলার, কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নে মো. মনির হোসেন, গোহট উত্তর ইউনিয়নে মো. কবির হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে সেলিম মিয়া, সুলতানাবাদ ইউনিয়নে হাবিবা ইসলাম সিফাত, শাহরাস্তি উপজেলার মেহের (দক্ষিণ) ইউনিয়নে মো. রুহুল আমিন

লক্ষ্মীপুর জেলার, সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে নুরুল আমিন, রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে শাহনাজ আক্তার, রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নে শাহিনুর বেগম রেখা, চট্টগ্রাম জেলার সন্দদ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নে মো. জসিম উদ্দিন, ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নে মো. শফিউল আজম, সুয়াবিল ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন, মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে এম এ কাশেম, লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে এস, এম, ইউনুচ, লোহাগাড়া ইউনিয়নে মোহাম্মদ নূরু ছফা, আধুনগর ইউনিয়নে মুহাম্মদ নূরুল কবির। এর সবাই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;