পৌরসভা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ৬৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কার ৬৪ মেয়রপ্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আট বিভাগে মোট ৬৪ জনকে দলের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এ সময় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উপস্থিত মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা প্রার্থী বাছাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

এই সভা থেকে রংপুর বিভাগে ৪টি পৌরসভা, রাজশাহী বিভাগে ১২টি, খুলনা বিভাগে ৯টি, বরিশালে ৮টি, ঢাকা বিভাগে ১২টি, ময়মনসিংহে ৮টি, সিলেটে ৩টি এবং চট্টগ্রামে ৮টি পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র পদে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন:

রংপুর বিভাগ:

রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর পৌরসভায় এনএএম জামিল হোসেন , নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভায় মো. মোহসীন, কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় মামুন সরকার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় খন্দকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

রাজশাহী বিভাগ:

রাজশাহীর বিভাগের বগুড়া জেলার ধুনট পৌরসভায় টিআইএম নুরুন্নবী, শিবগঞ্জ পৌরসভায় তৌহিদুর রহমান মানিক, গাবতলী পৌরসভায় মোমিনুল হক (শিলু), কাহালু পৌরসভায় হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম পৌরসভায় আনিছুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুর পৌরসভায় গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভায় আমিনুর রহমান, নওগাঁ সদর পৌরসভায় নির্মল কৃষ্ণ সাহা, রাজশাহীর তানোর-মুন্ডুমালা পৌরসভায় আমির হোসেন (আমিন), মোহনপুর কেশরহাট পৌরসভায় মোঃ শহিদুজ্জামান, নাটোরের সিংড়া পৌরসভায় জান্নাতুল ফেরদৌস, পাবনা সদর পৌরসভায় আলী মুর্তজা বিশ্বাস।

খুলনা বিভাগ:

খুলনার বিভাগের চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনা পৌরসভায় মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় ফারুক হোসেন, কোটচাঁদপুর পৌরসভায় শাহাজান আলী, যশোরের মনিরামপুর পৌরসভায় কাজী মাহমুদুল হাসান, নড়াইল সদর পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা, কালিয়া পৌরসভায় ওয়াহিদুজ্জামান (হীরা), বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় এস. এম. মনিরুল হক, খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় সেলিম জাহাঙ্গীর, সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভায় মো. মনিরুজ্জামান।

বরিশাল: 

বরিশাল বিভাগের বরগুনা সদর পৌরসভায় কামরুল আহসান (মহারাজ), পাথরঘাটা পৌরসভায় আনোয়ার হোসেন আকন, ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় রফিকুল ইসলাম, দৌলতখান পৌরসভায় জাকির হোসেন, বরিশালের গৌরনদী পৌরসভায় হারিছুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভায় কামাল উদ্দিন খান, ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভায় আ. ওয়াহেদ খাঁন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ স্বরূপকাঠী পৌরসভায় গোলাম কবির।

ঢাকা বিভাগ:

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল সদর পৌরসভায় এস,এম সিরাজুল হক, মির্জাপুর পৌরসভায় সালমা আক্তার, ভূঞাপুর পৌরসভায় মাসুদুল হক মাসুদ, সখিপুর পৌরসভায় আবু হানিফ আজাদ, মধুপুর পৌরসভায় সিদ্দিক হোসেন খান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভায় শওকত উসমান, মুন্সিগঞ্জ সদর পৌরসভায় মোহাম্মদ ফয়সাল, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভায় ওয়াজেদ আলী, শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় আবুল কালাম আজাদ, ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় আবদুল মান্নান হাওলাদার, জাজিরা পৌরসভায় অধ্যাপক আবদুল হক কবিরাজ।

ময়মনসিংহ বিভাগ:

ময়নসিংহ বিভাগের জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভায় মনির উদ্দিন, শেরপুরের নকলা পৌরসভায় হাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী পৌরসভায় আবু বক্কর সিদ্দিক, ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভায় এ, কে, এম মেজবাহ্ উদ্দিন, ত্রিশাল পৌরসভায় নবী নেওয়াজ সরকার, গৌরীপুর পৌরসভায় শফিকুল ইসলাম হবি, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনার দূর্গাপুর পৌরসভায় আলা উদ্দিন।

সিলেট বিভাগ:

সিলেট বিভাগের সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় মোহাম্মদ রুহেল আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভায় খলিল উদ্দিন, মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় ফজলুর রহমান।

চট্টগ্রাম বিভাগ:

চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভায় আবুল খায়ের, বরুড়া পৌরসভায় বক্তার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় মীর হোসেন মীরু, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাহবুব-উল আলম, ফেনী সদর পৌরসভায় নজরুল ইসলাম স্বপন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ চৌমুনী পৌরসভায় আক্তার হোসেন, হাতিয়া পৌরসভায় কে, এম ওবায়েদ উল্যাহ, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় আবুল খায়ের পাটওয়ারী।

প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপের ৬৪টি পৌরসভার নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এসব পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩১ ডিসেম্বর। নির্বাচন হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার আগামী ১০ জানুয়ারি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর।

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;