মানববন্ধন করে মুক্তির পথ হবে না: গয়েশ্বর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

মানববন্ধন বা প্রতিবাদ করে মুক্তির পথ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, মানববন্ধন বা প্রতিবাদ করে মুক্তির পথ হবে না। আমাদের লড়াই করতে হবে। আজ এই মাস বিজয়ের মাসের শেষ দিন। যে বিজয় নিয়ে গর্ব করি সেই বিজয় কিন্তু লড়াই ছাড়া আসেনি, সংগ্রাম ছাড়া আসেনি ও রক্ত ছাড়া হয়নি। সে কারণেই আমাদের জীবন যুদ্ধে যেমন করোনাকে উপেক্ষা করে ছোটাছুটি করি, তেমনি স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে করোনার মতো শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করে ও প্রশাসনের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে মাঠে ময়দানে ছোটাছুটি করতে হবে। তাছাড়া কিন্তু আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার অন্য কোনও পথ নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগমর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে’ এই শিরোনামে মানবনবন্ধন করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, কোনো অধিকারই সংগ্রাম ছাড়া হয় নাই। বিএনপির তো সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন? প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি কী করেছেন লড়াই করেছেন। যুদ্ধ করেছেন। তিনি প্রথম পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার ঊর্ধ্বতন কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পরে নেতৃত্ব কে দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজপথে মশাল হাতে ঢাকার অলিতে গলিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। আপোসহীন নেত্রীর কর্মীরা যদি আপোসকামী হয়, তাহলে তো শেখ হাসিনা অবজ্ঞা করবেই, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেই।

নেতৃকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আসুন সরকারটাকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, না হলে ব্যর্থও হতে পারি। কিন্তু চেষ্টা না করে সফলও হইলাম না ব্যর্থও হইলাম না। আর সবসময় ঈশ্বরের ওপর, আল্লাহর ওপরে ভরসা করলাম- আল্লাহ ছাড়া আর গতি নাই। না। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, কাপুরুষ এবং মূর্খরা অদৃষ্টের ওপরে নির্ভর করে। আর বীর পুরুষরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে। আসুন-এই বিএনপি এই জাতির অদৃষ্ট কিংবা জাতির ভাগ্য। যেমনি যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো, ঠিক আজকে সেই বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া আছেন, তারেক রহমান আছেন। তাদের নেতৃত্বে আমরাও বীর পুরুষের মতো আমাদের ভাগ্য, দেশের ভাগ্য, গণতন্ত্রের ভাগ্য, নারী ও শিশুদের আগামী দিনের ভাগ্য আমরাই প্রতিষ্ঠিত করবো।