‘আ.লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি নেতারা কথা বলতে পারেন’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি নেতারা কথা বলতে পারেন বলে বন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের অভিযোগ দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আপনাদের সময় তো দেশে ছিল বন্দুকতন্ত্র। আপনারা গণতন্ত্রের মানেই বোঝেন না। আপনাদের সময় মানুষ খুন হতো। খুনিরা প্রকাশ্যে হেঁটে বেড়াতো।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু যখন বুঝতে পারেন পাকিস্তানের স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করবে না। তারা শাসক হবে, বন্ধু হবে না। তখন বঙ্গবন্ধু দুটি ধারা চালু করেন। একটি ছাত্র-যুবদের নিয়ে এবং অন্যটি রাজনৈতিক দল।’

তিনি বলেন, রাজমিস্ত্রি যেমন বাড়ি বানাতে একটা একটা ইট গাঁথেন, সেভাবেই ছাত্রলীগকে গড়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এতটাই সম্পৃক্ত ছিলেন যে, কেউ তাঁকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। তিনি প্রমাণ করে গেছেন, বাঙালিকে কেউ দমায়ে রাখতে পারে না।’

আনিসুল হক বলেন, ‘১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের ছবি অন্যরকম হতো। তবে তার কন্য ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও মানবতাবিরোধীদের বিচার করেছেন। সাজা কার্যকর করেছেন।’

তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা ছাত্রলীগ করেন, পড়াশোনা করবেন। আপনাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম.এ. আজিজ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।