কোন ষড়যন্ত্র নয়, প্রকাশ্যে সরকারের পতন চাই: নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন ষড়যন্ত্র নয়, প্রকাশ্যে আমরা এই সরকারের পতন চাই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি আরও বলেন, প্রকাশ্যে বলছি আমরা এই সরকারের পতন চাই। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করবো। সুতরাং এটা কোন ষড়যন্ত্র নয়। তথাকথিত সুবিধাবাদীরা বলছেন সরকার হঠানোর নীল নকশা চলছে। নীলনকশা কেন এটাতো সাজানো হচ্ছে। এই অবৈধ ভোটার বিহীন সরকারকে হটাতে সারা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যার যার দল থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শিশুকল্যান মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বিরোধী কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী।

নুরুল হক নুর বলেন, র‍্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমকে আটক করার পরে আইন বহির্ভূত বিদেশি মদ, অস্ত্র ও ওয়াকিটকিসহ অনেক জিনিস রাখার দায়ে দুটি মামলার একটিতে ৬ মাস এবং আরেকটি মামলায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার আলোচনা শেষ হওয়ার পরেই পুলিশ তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশ বলছে যে সেরকম কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এখন কে মিথ্যাবাদী পুলিশ নাকি র‍্যাব? কে প্রতারক পুলিশ নাকি র‍্যাব? এখনে র‍্যাব যদি প্রতারণা ও নাটক করে থাকে; তাহলে এ পর্যন্ত র‍্যাব কত প্রতারণা ও নাটক করেছে? আর যদি ধরে নেই ক্ষমতাসীন দলের প্রতারক দস্যুদের বাচাতে পুলিশ এই মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। তাহলে পুলিশ গত ১২ বছরে এমন কত প্রতিবেদন দিয়েছে?

নুর বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত ভোট দিতে না পারার অভিযোগ করলেও এখন সরকারি দলের নেতারা এই অভিযোগ করছেন। চুনোপুঁটি কোন নেতা নয়, সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই উৎকণ্ঠা রয়েছেন। যে সমর্থন দিচ্ছে না তারা ভোট ডাকাতি করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জিতিয়ে দিতে পারে। ডিসির সাথে মিটিং ছিল সেখান তাকে কথা বলতে দেয়নি। তিনি খোলা মাঠে নেতাকর্মীদের বলেছেন এখন ভোট হয়না। শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি এটা ওবাদুল কাদের ভাইয়ের কথা। ওবায়দুল কাদেরের ভাই সরকারি দলের এমন পর্যায় থেকেও ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, দেশে বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণের নির্বাচন। তাহলে আপনারা কেন সেদিন রাজপথে নামেননি? আমরা ছোট পরিসরে হলে আন্দোলন করেছি; কিন্তু আপনারা এতো বড় দল হয়েও কেন শুধু প্রেসক্লাবে পরে থাকবেন? সেদিন কেন বিক্ষোভ মিছিল করেননি?

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

   

২৬ এপ্রিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নয়াপল্টনে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

;

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;