পুলিশ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত ৩০
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল, কারাগারে লেখক মোস্তাক আহমেদের মৃত্যু ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের প্রতিবাদে ছাত্রদলের ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশ ও ছাত্রদলের ৩০ জনের বেশি আহত হয়।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। অন্যদিকে পুলিশের লাঠি পেটায় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের নিউজ সংগ্রহের সময় এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাম্যান মামুন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরের যে কোন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে হলে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। আজকে ছাত্রদল প্রোগ্রাম করার জন্য কোন অনুমতি নেয়নি। তাদেরকে আমরা সকালে জানিয়েছি আপনারা অনুমতি নিয়ে প্রোগ্রাম করেন। সেটি না করে প্রেসক্লাবের এক ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর হামলা করে, প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইট-পাটকেলও মারলো। আমরা খেয়াল করেছি, প্রেস ক্লাবের ভিতরে কোন ইট নেই। তাহলে এত ইট আসলো কোথা থেকে? তার মানে এই তারা ইট সংগ্রহ করেছে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এটার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের হামলায় ৬ থেকে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, আমরা সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছি, কিন্তু আপনারা জানেন তারা আমাদের অনুমতি দেয় না। আমরা তো আর মারামারি করতে সেখানে যাইনি। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শুরুর আগেই হামলা করেছে।
তিনি বলেন, হামলায় ছাত্রদলের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি, এখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমাদের আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।