স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৭ ইউনিটির কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৭ ইউনিটির কমিটি গঠন ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মার্চ) বগুড়া জেলার ১৩টি এবং রাজবাড়ী জেলার ৫টি ইউনিটের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটি সমূহকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে অধীন্থ সকল ইউনিয়নের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম এবং বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে জেলার ১৩টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেওয়ার জন্য জেলা নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বগুড়া জেলা নেতৃবৃন্দ কমটিসমূহ অনুমোদন করেন। অপর এক সভায় রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলার ৫টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন করেন।

বগুড়া জেলার অনুমোদিত ইউনিট কমিটিসমূহ :

গাবতলী উপজেলা
আহবায়ক মো. রাকিবুল হাসান হিরু, সদস্য সচিব মো. সুজা উদ্দিন সুজা, যুগ্ম আহবায়ক মামুনুরশিদ ঠান্ডু, মো. পারভেজ পশারী নাইস, মো. আরাফাতুর রহমান, মো. সোহেল মন্ডল, মো. ইলিয়াছ মাহমুদ, মো. নিহাত আনোয়ার বাদল, মো. শহিদুল ইসলাম সম্রাটসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

গাবতলী পৌর
আহবায়ক মো. পবন সরকার, সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহমান লেমন, যুগ্ম আহবায়ক মো. নুবুল্লাহ, মো. রকি আহম্মেদ, মো. সোহেল রানা, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. বিপ্লব সরকারসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

শেরপুর উপজেলা
আহবায়ক শাহ্ মো. কাওসার আলী (কলিন্স), সদস্য সচিব মো. দুলাল শেখ, যুগ্ম আহবায়ক মো. তাহেরুল ইসলাম সরকার, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. এনামুল হক লায়ন, মো. শুয়াইব আহম্মেদ (চপল), মো. আব্দুল আলীম, মো. মিলন হাসান, মো. রাজু আহম্মেদ, মো. শাকিবসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

শেরপুর পৌর
আহবায়ক মো. হাফিজুল আসিফ (শাওন), সদস্য সচিব মো. নাসিম সরকার (সাদ্দাম), যুগ্ম আহবায়ক মো. বেল্লাল হোসেন, মো. ইমরান খাঁন, মো. জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ), মো. ফয়সাল আল-মনির (অভি), মো. সাইদুল ইসলাম সরদার, শ্রী নিতাই চন্দ্র দাস, মো. লিটন শেখসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

শিবগঞ্জ উপজেলা
আহবায়ক মো. এবি এম মাসুদ রানা মাছুম, সদস্য সচিব মো. রায়হানুল হক রনি, যুগ্ম আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম, মো. খোরশেদ আলম কাজল, মো. মেহেদী হাসান, মো. শাহিনুর ইসলাম মন্ডল, মো. রাকিবুল হাসান তালুকদার, মো. আব্দুল্লাহ যোবায়ের, মো. ছারোয়ার আলম রওশনসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

শিবগঞ্জ পৌর
আহবায়ক মো:জুয়েল হোসেন বাপ্পি, সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান মেহেদী, যুগ্ম আহবায়ক মো. আরিফুল ইসলাম জনি, মো. আব্দুল বারিক মোল্লা, মো. আইয়ুব কাজী, মো. মহিনুর ইসলাম, মো. রবিউল ইসলামসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা
আহবায়ক মো. আব্দুর রাজ্জাক সাকিদার, সদস্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক মো. রেজুয়ান ইসলাম রনি, আবু নছর মো. আব্দুল হাই, মো. মর্তুজা আলী, মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. আবু হুরায়রা, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মন্টু প্রাংসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

দুপচাঁচিয়া পৌর
আহবায়ক মো. ওয়ালিউল ইসলাম পুটু, সদস্য সচিব মো. মেহেদী হাসান, যুগ্ম আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. মাহমুদুল হাসান তালুকদার, মো. ওমর ফারুক, মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, মো. গোফ্ফার আলীসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

ধুনট উপজেলা
আহবায়ক মো. আলফিজুর রহমান স্বপন, সদস্য সচিব মো. মাহবুবু উল হক রঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক, মো. মিনহাজ উদ্দিন মিঠু, মো. আশিক আহম্মেদ, এস.এম আতিকুর রহমান শিতল, মো. রাজিব উদ্দিন, মো. রাছেল রানা সম্রাট, মো. দেলোয়ার হোসেন শ্যামল, মো. মাসুদ রানাসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

ধুনট পৌর
আহবায়ক মো. আরাফাত রহমান জনি, সদস্য সচিব মো. রাজু মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক, মো. মোশারফ হোসেন, মো. লিখন মিয়া, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. শামীম আহম্মেদ সবুজ, মো. রাকিবুল হাসান মিশুসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

শাজাহানপুর উপজেলা
আহবায়ক মো. আজাদুল ইসলাম (আজাদ), সদস্য সচিব, মো. হাসান আকন্দ, যুগ্ম আহবায়ক, মো. কামরুল হাসান (মোমিন), মো. রিয়াজুল ইসলাম (সবুজ), মো. মোনোয়ার হোসেন (টোটন), মো. আরমান হোসেন (রকি), মো. মেহেদী হাসান রতন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. জোবেয়ার হোসেন (জুয়েল) সহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

আদমদিঘী উপজেলা
আহবায়ক মো. রুহুল আমিন, সদস্য সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহবায়ক মো. জিল্লুর রহমান, মো. সুরুজ দেওয়ান, মো. আব্দুর রউফ, মো. শরিফুল মোল্লা, মো. বাবলু রহমান, মো. সাজেদুর রহমান তালুকদার, মো. আসলাম মন্ডল সোহাগসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

সান্তাহার পৌর
আহবায়ক মো. মানিক হোসেন, সদস্য সচিব মো. সাব্বির আহমেদ (লিয়ন) যুগ্ম আহবায়ক মো. সাগর হোসেন, মো. মোনায়েম হোসেন (রকেট ), মো. রুবেল ইসলাম, মো. সাব্বির আহমেদ, মো. সবুজ হোসেনসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

রাজবাড়ী জেলার অনুমোদিত ইউনিট কমিটিসমূহ

গোয়ালন্দ উপজেলা
আহবায়ক ইয়াহিয়া খান এহিয়া, সদস্য সচিব আবু সাঈদ মন্ডল, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনির, শিমুল খান, রফিকুল ইসলাম, রুবেল শেখ, আতিকুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, শেখ ফরিদসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

গোয়ালন্দ পৌর
আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. নওশাদ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম শেখ, তানভীর ইসলাম সজীব, সুবল ঘোষ, মো. সবুজ, রফিক সরদারসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা
আহবায়ক মো. সজল আহমেদ, সদস্য সচিব রফিকুজ্জামান লিটন। যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ মাহামুদ, মো. আলিম জোয়াদ্দার, জাহিদ হাসান ইসা, শামীম আহম্মেদ, বাবুল আক্তার, উজ্জল মন্ডলসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

পাংশা উপজেলা :
আহবায়ক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম আহবায়ক, মাহাবুবুর রহমান, মো. আলহাজ্ব, আবু সাইদ জুয়েল, রুবেল মাহমুদ, মো. নুরুল ইসলামসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

কালুখালী উপজেলা
আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. জিয়াউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক, মো. রফিকুল ইসলাম, হামিদ পাটোয়ারী, আলমগীর হোসেন, হানিফ উদ্দীন খান, আনোয়ার হোসেনসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

   

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

বিএনপির নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, হাল ধরার কেউ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নেতা লন্ডনে কর্মীরা হতাশ, কি করবে, হাল ধরার কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়িতে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, তারা অর্থ পাচার, দুর্নীতির রাজা, সাম্প্রদায়িক। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, রুখতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিলেন, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে। নিজেরা বিপদে আছে, দেশকে বলে বিপদে আছে। বাংলাদেশ বিপদে নেই, শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছে ইনশাআল্লাহ তার যথাযথ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রমান হয়েছে আমাদের স্ট্যাবিলিটির প্রতীক, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মাঝে ৫ বছর ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন। আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি।

এবারের নির্বাচন ডেমোক্রেটিক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারে নির্বাচন কোনো সেমি ডেমোক্রেটিক নির্বাচন না, এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা অংশগ্রহণ করেনি তারপরও ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এটা অনেক উন্নতে দেশেও হয় না।

এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্য সব কিছুর উত্থান-পতন হতে পারে কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলবো নেত্রীর যে প্রায়োরিটি, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুধাবন করবেন।

এদেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা শহরের চারশো বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিলো কৃষকদের হাতে। খন্ড খন্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সৈয়দপুরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ তিন নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকালে শহরের ধলাগাছের আমিরের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর কামারপুকুর এলাকার মৃত মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(৫২), সদরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এ্যাড.আব্দুল ফারুক আল লতিফ( ৫৩), সৈয়দপুর ডাংগা পাড়া স্বাসকান্দ এলাকার মৃত আব্দুল বসুনিয়ার ছেলে খয়রার হোসেন বসুনিয়া (৫৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;