স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৪ ইউনিটির কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুর জেলার ৮টি এবং নাটোর জেলার ৬টি ইউনিট কমিটি ঘোষণা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। বুধবার (১৭ মার্চ) এ সকল কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম ও জামালপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে জামালপুর জেলার ৮টি ইউনিট কমিটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইভাবে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় সংগঠনিক টিম ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে নাটোর জেলার ৬টি কমিটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দল জামালপুর জেলার সভাপতি মো: সফিকুল ইসলাম খান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মোনোয়ারুল ইসলাম কর্নেল এবং নাটোর জেলার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ রনি তাদের নিজ নিজ জেলার ইউনিট কমিটি সমূহ অনুমোদন করেন।

জামালপুর জেলার অনুমোদিত ইউনিট কমিটিসমূহ

জামালপুর পৌর

আহবায়ক মো. শাহেদ আলী, সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন টুটুল। যুগ্ম আহবায়ক মো. ওমর ফারুক রিমন, মোহাম্মদ আলী, মো. নজরুল ইসলাম, মীর সেজনু, কামরুল হাসান মিল্টন, লেবু খান, মিনাম আহম্মেদ শিহরন,  মো. মাহবুবুর রহমান আব্দুল্লাহ, মাহবুবুর রহমান মানিকসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

জামালপুর সদর উপজেলা (দক্ষিণ)

আহবায়ক এম গোলাম মোস্তফা মুকুল, সদস্য সচিব, মো. কামরুল ইসলাম। যুগ্ম আহবায়ক মো. আসফা-উদ-দৌলা পরাগ, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. ফারুক হোসেন, মো. সোহেল রানা, মো. লিটন ফকির, মো. মমিনুর রহমান, মো. আক্তারুজ্জামান, মো. সুলতান মাহমুদ, মো. ইকবাল মাষ্টারসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

জামালপুর সদর উপজেলা (পূর্ব)

আহবায়ক আতিক ইবনে আশরাফ, সদস্য সচিব, মো. আরমান বাদশা। যুগ্ম আহবায়ক হারুন ফকির, মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম (নরুন্দী), মো. নজরুল ইসলাম বেলাল (ঘোড়াধাপ), মো. ফারুক আহম্মেদ খান, মো. রফিকুল ইসলাম নিক্সন, মো. শামীম খান, মো. ওয়াসিম উদ্দিনসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

সরিষাবাড়ী উপজেলা

আহবায়ক অধ্যাপক এ.বিএম ছাইদুল হাসান শিপন, সদস্য সচিব মো. বিকাশ চন্দ্র সাহা। যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদুল হক, ফকরুল কবির তালুকদার, মামুন আল আসাদ, জয়নুল আবেদিন খোকন, আলমগীর হোসেন আলম, নাজমুল হক নিয়ন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মুজেলুর রহমান বাবলু, মো. সাইফদ্দিন তালুকদার বিপ্লবসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা

আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব, মাজেদুল ইসলাম বাদল। যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম বাবলু, খন্দকার মাইনুল হক, ফিরোজ হাসান, মো. আফরুজ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, আজিজ, মো. শাজাহান কবির, মধু মিয়া, আল আমিন হোসেন সেলিমসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

দেওয়ানগঞ্জ পৌর

আহবায়ক মো. শাহিন মাহমুদ, সদস্য সচিব মো. তৌফিকুল ইসলাম সুজন। যুগ্ম আহবায়ক মো. লাল মিয়া, মোহাম্মদ আলী, বাইজিদ মিয়া, রনজু আহম্মেদ, আল আমিন মিয়া সাজ্জাদ, বিল্লাল খন্দকার, মিন্টু মিয়াসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

মাদারগঞ্জ পৌর

আহবায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য সচিব মো. বুরহান আহম্মেদ। যুগ্ম আহবায়ক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তামসা, লুৎফর রহমান খান, মো. রবিউল ইসলাম রানা, মনোয়ার হোসেন অশ্রু, মো. হাফিজুর রহমান, মো. সাজেদুল হক সোহান, মো. নজরুল ইসলামসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

মেলান্দহ পৌর

আহবায়ক মো. মশিউর রহমান, সদস্য সচিব মো. ফাহাদুজ্জামান নবীন। যুগ্ম আহবায়ক লোকমান হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল, মোবারক আলী মাফু, মো: ইস্রাফিল, মো. ফরহাদ হোসেন, মো. জাহিদ হাসান, মো. রুবেলসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

নাটোর জেলার অনুমোদিত ইউনিট কমিটিসমূহ

নাটোর সদর উপজেলা

আহবায়ক মো. আফরোজ তালুকদার, সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান। যুগ্ম আহবায়ক মো. সালাহ উদ্দিন মাসুদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. শফিকুল ইসলাম শাহিন, মো. আসলাম শেখ, মো. আওলাদ হোসেন, মো. আব্দুর রহমান, মো. বেলাল খান সাদ্দাম, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. কাওছার আহম্মেদ রাজিবসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

নাটোর পৌর

আহবায়ক মো. সাব্বিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. আমানত উল্লাহ। যুগ্ম আহবায়ক মো. মিরাজ খান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন মিঞা, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহাঙ্গীর আলম শান্ত, মো. ফজলু হক, মামুন হোসেন, মো. উজ্জল হোসেন, মো. সজীব হোসেন, মো. আব্দুর রহমান

গুরুদাসপুর পৌর

আহবায়ক মো. সালাহ উদ্দিন কাফি, সদস্য সচিব মো. আজিজ। যুগ্ম আহবায়ক শ্রী:দেব্রনাত কুমার, মো. ফয়জুল্লাহ ফকির, মো. সেলিম সরদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. রিয়াজ, মো. জাকির শাহ, মো. আব্দুল্লাহ শাহসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

গুরুদাসপুর উপজেলা

আহবায়ক মো. শামিম আহম্মেদ, সদস্য সচিব মো. শিহাব উদ্দিন। যুগ্ম আহবায়ক মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, মো. রাঙ্গা মোল্লা, মো. সেলিম রেজা, মো. সোহানুর রহমান সোহান, মো. শাহিনুর রহমান রানা, মো. আ: জলিল, মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মো. হাবিবুর রহমান লিটনসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

নলডাঙ্গা উপজেলা

আহবায়ক মো. উজ্জ্বল হোসেন, সদস্য সচিব মো. আরিফ উদ্দিন। যুগ্ম আহবায়ক মো. মনজুরুল ইসলাম সবুজ, মো. আজিম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান জসিম, মো. ওয়ারেস আলী, মো. জনি হোসেন, মো. রফিক উদ্দিন ৭ মো. মাসুদ রানাসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

নলডাঙ্গা পৌর

আহবায়ক মো. সাহাদত হোসেন, সদস্য সচিব মো. কফিল আহমেদ। যুগ্ম আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মুক্তার হোসেন, মো. বাবু আহমেদ, মো. লোকমান আলী, মো. মোজাহার আলী, মো. আব্দুর রউফ, মো. জমসেদসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

ঘোষিত কমিটি সমূহকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে অধীন্থ সকল ইউনিয়নের কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

   

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;

দমন নিপীড়ন আ.লীগের প্রধান হাতিযার: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন নিপীড়ন তাদের প্রধান হাতিয়ার৷ দমন নিপীড়ন না করলে তারা (আ. লীগ) টিকে থাকতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবারের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের দমন নীতির শিকার হিয়েছেন৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে। সেই শুরু থেকেই এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার গুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা একক করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের কবলে পড়ে আজ অনেকে বাবাকে ফিরে পেতে চায়। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছে। গুম করে রাখা হয়েছে বেঁচে আছে নাকি নেই তাও পরিবারের লোকজন জানে না। কেউ কেউ অনেক বড় হয়েছে তবুও হাসি মুখে কথা বলতে পারে না। এই হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত, নিপীড়িত, খুন হওয়া, গুম হওয়া অসহায় পরিবার গুলোর বর্তমান অবস্থা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শুধু এই পরিবার গুলোর নয়। সারা বাংলাদেশের একি অবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের দলের শুধু নয়। সারা বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে। ত্রাসে থাকে। কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোন নিশ্চয়তা নেই।

এসময় মির্জা ফখরুল বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কখনো মনে করবা না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। যুবকদের বলতে চাই কোনো ভিরুতা কোনো হতাশা যেন তাদের গ্রাস না করে। পাখা বন্ধ করা যাবেনা। পাখা উড়াতে হবে। চলতে হবে তীরে পৌঁছাতে হবে। শুভ দিন আমাদের আসবেই। বিচার হবেই। কারণ অন্যায় কোনো দিন টিকে থাকতে পারেনা। সত্যের জয় হবে।

বক্তব্য শেষে, বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;